Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিগগিরই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ডিজিটাল ডাটাবেজ ব্যবস্থাপনায় আসছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১ জুন ২০২২ ০৮:৩৯

বগুড়া: দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বল্প মূল্যে খাদ্য সহায়তায় চলমান খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আগামী অর্থবছর থেকে ডিজিটাল ডাটাবেজ ব্যবস্থাপনার আওতায় আসছে। কৃষক অ্যাপের পর খাদ্য বিভাগ এবার চলমান খাদ্যবান্ধব কর্মসুচি ডিজিটাল ডাটাবেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবে। প্রতিটি উপজেলায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের (ইউডিসি) মাধ্যমে উপকারভোগীদের ডাটাবেজ প্রণয়নের সঙ্গে তালিকা যাচাইকরণ করা হবে। এতে তালিকায় আরও স্বচ্ছতা আসার সঙ্গে অনিয়ম হ্রাস পাবে এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নীতিমালা বহির্ভূত কোনো নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না। জুন মাসের মধ্যে এই কর্মসূচির মোট উপকারভোগীর এক চতুর্থাংশ ডিজিটালডাটাবেজ ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত হবে। এর বিপরীতে ইতোমধ্যে সংশোধিত বাজেটে অর্থ বিভাগ থেকে খাদ্য বিভাগে বরাদ্দও ছাড় করা হয়েছে বলে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

খাদ্য অধিফতর সূত্র জানায়, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বল্প মূল্যে খাদ্য সহায়তা দিতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ব্যস্তবায়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বা ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণ কর্মসূচী শুরু হয় ২০১৬ সাল থেকে। নির্দিষ্ট নীতিমালায় ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের অনুমোদনে এই তালিকা প্রণয়ন করা হয়। একটি পরিবারের একজন এবং অন্য খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত কাউকে এই তালিকায় নেওয়ার সুযোগ নেই।

প্রতি বছর মার্চ,এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মোট ৫ মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীতে তালিকাভুক্তদের কার্ডের ১০টাকা কেজি দামে স্বল্প মূল্যে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হয় খাদ্য বিভাগের ডিলারদের মাধ্যমে। মোট ৫০ লাখ পরিবারকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় স্বল্পমূল্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। তবে এতে উপকারভোগীদের নাম অন্তর্ভুক্তিসহ এর সরবরাহ নিয়ে প্রায় নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। এটি দূর করার সঙ্গে আরও স্বচ্ছতা ও শুদ্ধতা আনতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ডাটাবেজ ব্যবস্থাপনায় আনা হচ্ছে।

ধান চাল সংগ্রহে কৃষক অ্যাপে সারাদেশে ২৫৬ উপজেলায় চলমান রয়েছে। নতুন পদ্ধতি কৃষক অ্যাপের সুষ্ঠুতা রয়েছে। এর ধারাবহিকাতা এবার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য গুরুত্বপুর্ণ ও জনপ্রিয় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী ডিচিজটাল ব্যবস্থাপনায় আনা হচ্ছে। এতে প্রকৃত উপকারভোগীদের যাচাইকরণ ও পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ প্রণয়ন হলে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আরও শুদ্ধতা আসবে। ইতোমধ্যে দেশের ৮ বিভাগের ৮ জেলার ৮ উপজেলার ২টি করে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আর জুন মাস থেকে এর কাজ শুরু হবে দেশের সব কটি উপজেলায়।

সূত্র জানায়, প্রথম পর্যায়ে জুন মাসের মধ্যে এক খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উপকারভোগী একচতুর্থাংশের তালিকা এর আওতায় আসছে। পরবর্তী খাদ্যবন্ধব কমুসুচী শুরু হবে সেপ্টেম্বর মাসে। এর আগেই উপকার ভোগীদের তথ্য ডিজিটাল ডাটাবেজ প্রণয়ন ও যাচাইকরণ সম্পন্ন হবে।

সূত্র আরও জানায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় আনতে উপকারভোগীদের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই, ছবি তোলা, মোবাইল নম্বরের তথ্যসহ ও শুদ্ধ ডাটা এন্ট্রি করে যাচাইকরণ হবে। এরপর উপকার ভোগী ছবিসহ একটি কার্ড পাবেন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর প্রথম দফায় এই কার্ডের মাধ্যমেই স্বল্প মূল্যের খ্যাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হবে। উপকারভোগীদের ডাটা এন্ট্রি ও ও ছবি তোরার জন্য ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) উদ্যোক্তাদের জন্য কার্ড প্রতি বরাদ্দ ইতোমধ্যে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ডাটাবেজ খাতে উপজেলা পর্যায়ে ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। এই বরাদ্দে মোট উপকারভোগীর এক চতুর্থাংশ উপকারভোগীকে ডিজিটাল ডাটাবেজের আওতায় আনা হবে। দ্রতই এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ শেষে ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরির কাজ শুরু হবে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিজিটিাল ব্যবস্থপনা-ডাটাবেজ প্রণয়নের বিষয়ে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, ডাটাবেজ ব্যবস্থাপনার কাজ চলছে। সেপ্টেম্বর থেকে এটি চালু হবে। এর প্রধান লক্ষ্য এই কর্মসূচীর অনিয়ম দূরীকরণ, তালিকা সঠিকভাবে তৈরি ও ডুপ্লিকেশন রোধ। ডিজিটাল ডাটাবেজে তালিকা যাচাইয়ের ফলে শুদ্ধতা আসবে।

বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আশ্রাফুজ্জমান জানান, শতভাগ স্বচ্ছতা আনার জন্য খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় আসছে।

সারাবাংলা/এসএসএ

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী ডিজিটাল ডাটাবেজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

৯০০তম গোলে ইতিহাস গড়লেন রোনালদো
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০৪

সম্পর্কিত খবর