ধূমপায়ী ব্যক্তির পরিবারে বাড়ে ক্যানসারের প্রবণতা
১ জুন ২০২২ ০৮:৫০
ঢাকা: ‘যে পরিবারে ধূমপান ও তামাক গ্রহণ করে, সেই পরিবারে ক্যানসারের প্রবণতা বেড়ে যায়। ধূমপান করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। আর এই ক্যান্সার এক-তৃতীয়াংশ রোধ করা সম্ভব, যদি তামাক সেবন বন্ধ হয়। এক্ষেত্রে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন যদিও রয়েছে, সেটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা জরুরি।’
মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল আয়োজিত ‘তামাক ও ক্যান্সার’ বিষয়ে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। ক্যানসারসহ নানা ধরনের রোগ সৃষ্টিতে তামাক সেবন অনেকটাই দায়ী।
তিনি বলেন, যদিও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন রয়েছে, সঠিকভাবে সেটি বাস্তবায়ন করা জরুরি। এছাড়া কৃষকদের তামাক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করতে সচেতনতামূলক কাজ করতে হবে। এ সময় ধূমপান ও তামাক গ্রহণে তরুণ প্রজন্মকে দূরে থাকার আহ্বান জানান এই চিকিৎসক।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আমিরুল মোর্শেদ বলেন, যে পরিবার ধূমপান ও তামাক গ্রহণ করছে, সেখানে ক্যান্সারের প্রবণতা বেড়ে যায়। ধূমপান করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। তামাকমুক্ত করার জন্য নিজেই যদি তামাক সেবন থেকে দূরে থাকি, তাহলেই বিশ্ব তামাকমুক্ত হবে।
একইসঙ্গে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও তামাক উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন ডা. আমিরুল মোর্শেদ।
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার বন্দোপাধ্যায় বলেন, এক-তৃতীয়াংশ ক্যানসার রোধ করা সম্ভব— যদি তামাক সেবন বন্ধ করা যায়। একটি শিশুর জন্য মায়ের গর্ভও একটা পৃথিবী। তাই পরিবারের কেউ যদি ধূমপান করে, সেটার প্রভাব গর্ভে থাকা শিশুর ওপরেও পড়ে। নিরাপদ থাকার জন্য পরিবারে তামাক গ্রহণ কিংবা ধূমপান করা যাবে না।
তিনি বলেন, বনকে ধ্বংস করে তামাকজাত পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। সরকার যদি এক্ষেত্রে তামাক উৎপাদনে কঠিন না হয়, তাহলে এটা বেড়ে যাবে। সরকারের উচিত সেটাকে জোর দিয়ে দেখা। ধূমপানের প্রতিবাদ করা দরকার। আমরা ধূমপায়ীকে বলতে পারি না যে, আপনার ধূমপান করার জায়গা এটি নয়।
সারাবাংলা/এসবি/এএম