সাংবাদিকতায় অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন মানিক মিয়া
১ জুন ২০২২ ১৮:২৯
ঢাকা: সাংবাদিকতায় অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া। বাংলাদেশে যতদিন সাংবাদিকতা থাকবে, সংবাদপত্র থাকবে, মানিক মিয়ার নাম কোনো না কোনোভাবে উচ্চারিত হবে।
বুধবার (১ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকীর এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। ‘নির্ভীক সাংবাদিক-সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা নামের একটি সংগঠন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, সাংবাদিকতার জগত যতদিন থাকবে, সংবাদপত্র যতদিন থাকবে, সাংবাদিকতায় যারা কাজ করবেন, কোনো না কোনো পর্যায়ে, কখনো না কখনো অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে, চেতনার অফুরান উৎস হিসেবে সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানিক মিয়া কাজ করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নানাভাবে যে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ জুগিয়েছেন, তাও এ দেশের মানুষ স্মরণ রাখবে।
ড. আখতারুজ্জামান বলেন, জাতির অন্যতম নির্ভীক সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মানিক মিয়া। বঙ্গবন্ধুর লেখায় বহু মানুষের নাম নেই, কিন্তু মানিক মিয়ার নাম উল্লেখ আছে। তিনি বহু মানুষকে চিনতেন। অনেককে হক সাহেব, ভাসানী সাহেব এমনটি বলতেন। সবার নাম কিন্তু বইয়ে লিখেননি। আবার ভাই বলেও লেখায় কাউকে উল্লেখ করেননি। কিন্তু
কারাগারের রোজনামচায় তিনি বলেছেন মানিক ভাই। মানিক মিয়াকে জাতির পিতা সবসময় শ্রদ্ধা করতেন এবং তার অবদানের কথা স্বীকার করতেন।
তিনি বলেন, মুসাফির নামে লিখতেন মানিক মিয়া। মুসাফির লিখতেন বাঙালি জাতিয়তাবাদকে উৎসাহিত করতে। মুসাফির লিখতেন বাংলার অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যে। তার লেখা রাজনীতিবিদদের অনুপ্রেরণা জোগাত। গাইডিং প্রিন্সিপ্যাল হিসেবে মানিক মিয়ার লেখা কাজ করত। কী ধরনের মূল্যবোধে তিনি নিজেকে ধারণ করতেন, এতেই বোঝা যায়। তার মধ্যে বাস্তব মূল্যবোধের প্রকট চিত্র দেখা যেত। অন্যদের সম্মান জানানোর যে গুণ সেটি যেমন মানিক মিয়ার মধ্যে ছিল, সেটি তার সন্তানদের মধ্যেও দেখা গেছে।
আখতারুজ্জামান বলেন, ৬ দফা প্রণয়নে যে কয়েকজন মানুষ অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন, তাদের মধ্যে মানিক মিয়া উল্লেখযোগ্য। ইত্তেফাকের মাধ্যমে ছয় দফা গণমানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তখন মানিক মিয়াকেও গ্রেফতার করা হয়। ইত্তেফাক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাসেও মানিক মিয়ার অবদান অবিস্মরণীয়। আশা করি আগামীতে আওয়ামী লীগও মানিক মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে। ভবিষ্যতে আমরা আরও বড় পরিসরে মানিক মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবো।
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর