Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ, নবজাতকের মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১ জুন ২০২২ ২৩:৪৪

বগুড়া: সদর উপজেলার আকাশতারা এলাকায় ট্রেন-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে মাহদিয়া নামে ১৫ দিন বয়সের এক নবজাতক নিহত এবং মাইক্রোবাসে থাকা নবজাতকের বাবা মিন্টু মিয়া (৪০) আহত হন। তবে মাইক্রোবাস চালকসহ এর অন্যান্য অরোহীরা রক্ষা পান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার (১ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লালমনিরহাট থেকে সান্তাহারগামী ট্রেনটি সদরের আকাশতারা এলাকায় ২৬ নং রেলগেটে অতিক্রম করার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আহত মিন্টু মিয়ার বাড়ি ঢাকার মোহাম্মাদপুর এলাকায়। তার শ্বশুরবাড়ি বগুড়ার আকাশতারা এলাকায়। তিনি স্ত্রী মারুফা ও নবজাতক জমজ শিশু-মাহদিয়া ও মাহদি, শাশুড়ি ও শ্যালিকাসহ মাইক্রোবাস নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাইক্রোবাসটি (ঢাকা মেট্রো-চ-১৫-৮৩৯৩) রেলগেটের সামনে আসে। এটি রেলগেট হলেও এর কোন গেটম্যান নেই। এখানে রেল কর্তৃপক্ষের দেওয়া একটি সাইনবোর্ডে সেটি উল্লেখ করে পথচারী ও যানবাহন চালকদের পারাপারের সময় সর্তক থাকার জন্য বলা হয়েছে।

মাইক্রোবাসে থাকা মিন্টু মিয়ার শাশুড়ি শিউলি বেগম জানান, রেললাইন পার হওয়ার সময় এসি চলার কারণে বাইরের কোনো শব্দ পাননি। রেললাইনের অপর পাশ থেকে এক ব্যক্তি মাইক্রোবাস চালককে ইশারায় না আসার জন্য বললেও মাইক্রোবাস চালক রেললাইন পার হওয়ার জন্য এগিয়ে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে।

ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি ছিটকে পড়ে রেললাইনের পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায় এবং মাইক্রোবাসের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আশেপাশের লোকজন দ্রুত এসে আহতদের উদ্ধার করে। এতে ঘটনাস্থলেই নবজাতক জমজ শিশুর এক জন মাহদিয়া মারা যান বলে পরিবার থেকে জানান হয়েছে। দুর্ঘটনায় আগে শিউলি বেগমের পুরো পরিবারে ছিলো খুশির আমেজ। কারণ জামাই ও মেয়েসহ নতুন অতিথি জমজ শিশু তাদের নানার বাড়ি প্রথম আসছিল। দুর্ঘটনাস্থলের ৫০০ গজের মধ্যে মিন্টু মিয়ার শ্বশুড়বাড়ি। সেখানে খুশির পরিবর্তে এখন কান্নার রোল। নবজাতকের মা মারুফা বেগম হাসপাতালে দুর্ঘটনায় আহত স্বামী মিন্টু মিয়ার পাশে।

তার পরিবার থেকে বলা হয়েছে, মারুফা ও মিন্টু মিয়ার বিয়ে হয়েছিল ৫ বছর আগে। তাদের সংসারে নতুন অতিথি জমজ শিশুর জন্ম হয় ১৫ দিন আগে।

দুর্ঘটনাস্থল আকাশতারা ২৬ নম্বর গেটের পাশের বাসিন্দা ভ্যান চালক শাহ আলম ও তানিয়া পারভীন জানালেন, এই স্থানে ইতোপূর্বে একাধিক দুর্ঘটনাসহ প্রাণহানিও ঘটেছে। তাদের দাবি সেখানে রেলগেট দেওয়া হোক। রেলগেট থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতো না।

এ ব্যাপারে বগুড়ার স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান সাজু জানান, লালমনিরহাট থেকে ২০ ডাউন ওই ট্রেনটি বগুড়া স্টেশনে এসে পৌঁছে ১১টা ৪৮ মিনিটে। তিনি জানান, ঘটনাস্থল রেলগেট হলেও ২৬ নম্বর গেটে কোনো গেট বা গেটম্যান নেই।

ঘটনাস্থলে থাকা রেল নিরাপত্তা বাহিনীর এসএস আই মুকুল হোসেন জানান, তারা ঘটনাস্থলে পৌছাঁর আগেই স্থানীয় লোকজন হতাহতদের উদ্ধার করে।

সারাবাংলা/একেএম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর