‘সরকারের কারসাজিতে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে’
২ জুন ২০২২ ১৫:৩২
ঢাকা: সরকারের কারসাজিতেই খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে রাজধানীর বাসাবোতে হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহহিয়া ও উত্তর ছাত্রদলের নেতা শাহাবুদ্দিন শিহাবকে দেখতে গিয়ে চাল, দুধ, পাউরুটিসহ খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আটা, ময়দা, দুধ, পাউরুটি দাম বেড়েছে। আমাদের গরিব লোকরা এখন কী করবে? বেশির ভাগ রিকশা শ্রমিক দিনের বেলা রিকশা চালিয়ে ফুটপাট থেকে একটা কলা ও পাউরুটি খায়। আজকে সেই রুটির দাম ডাবল হয়ে গেছে, তিনগুণ হয়ে গেছে। এমনকি ৬২ হাজার লোককে ১০ টাকা কেজি করে যে চাল দেওয়া হতো তা এখন ১৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার।’
‘অর্থাৎ সরকার নিজেই এই মূল্য বৃদ্ধি করার জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে এবং তাদের কারসাজিতেই আজকে খাদ্যপণ্য, খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সমস্যাটা হচ্ছে যে তারা সবকিছুর মধ্যেই অবৈধ মুনাফা চায় এবং জনগণের ন্যূনতম প্রয়োজন যেটা খাদ্য, এই খাদ্যকে তারা এখন জিম্মি করে প্রফিট নিতে চায়, মুনাফা লুটতে চায়। এটা আজকের ব্যাপার না, প্রথম ১৯৭৪ সালে যে দুর্ভিক্ষটা হয়েছিলো সেখানে কিন্তু খাদ্যসংকট ছিল তা না, দুঃশাসন-দুর্নীতির কারণে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল।’
‘আজকে ঠিক একইভাবে খাদ্যশস্য যেটা মানুষের বেশি দরকার সেটাকে তারা অন্যায়ভাবে দাম বাড়াচ্ছে, মজুদ করছে, আটকে রাখছে। আর্টিফিশিয়াল একটা ক্রাইসিস তৈরি করে তারা বাজারে দামটা বাড়িয়ে দিচ্ছে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন,‘আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাকে ধরে রাখতে চায়, জনগণের ভালোবাসায় নয়। এটা হচ্ছে তাদের মৌলিক চরিত্র। আজকে শুরু নয় বা এবারে শুধু নয়, প্রতিবার, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে তাদের রাজনীতিকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা সন্ত্রাস করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে দেশের মানুষকে একটা ‘ফিয়ারো ফোবিয়া’র মধ্যে রেখে আবারও নির্বাচন করতে চায়, সেই নির্বাচন পার হতে চায়। জনগণ এবার তা হতে দেবে না। বাংলাদেশের মানুষ মনে করে যে, এই নির্বাচন কোনো মতেই আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা সম্ভব না। তাদেরকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় জনগণের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে এখানে নির্বাচন হতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধাসহ স্থানীয় নেতারা।
সারাবাংলা/এজেড/একেএম
