বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণা
২ জুন ২০২২ ১৯:৩৯
সিলেট: সীমান্ত হত্যা, মাদক ও চোরাচালান বন্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণায় সিলেটে শেষ হয়েছে বিজিবি ও বিএসএফ’র ৪ দিনব্যাপী আঞ্চলিক সীমান্ত সম্মেলন।
সিলেটের একটি হোটেলে গত সোমবার শুরু হওয়া এ সম্মেলন শেষ হয় বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে। পরে এ নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন উভয় বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডাররা।
এতে বিজিবির সরাইল, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার রিজিয়ন এবং ময়মনসিংহ সেক্টরের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রামের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তানভীর গনি চৌধুরী। বিএসএফ’র মেঘালয়, মিজোরাম ও কাচার এবং ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন নেতৃত্ব দেন ইন্সপেক্টর জেনারেল সুমিত শরণ।
সম্মেলনে বিজিবির পক্ষ থেকে ভারত দিয়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত মায়ানমারের নাগরিকদের অনুপ্রবেশ এবং সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিএসএফকে বলা হয়।
এছাড়া কসবা রেলওয়ে লিংক প্রজেক্টের কাজ পুনরায় শুরু ও যৌথ নদী কমিশন অনুমোদিত বাংলাদেশ অংশের নদী শাসন সংক্রান্ত কাজে বিএসএফ’র বাধা অপসারণের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়।
এসময় বিজিবি কর্মকর্তারা সীমান্ত হত্যা, বাংলাদেশি নাগরিকদের উপর বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিকদের হামলা, মাদকপাচার, ভারতীয় নাগরিকদের অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশুপাচার বন্ধে বিএসএফ’র সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
বিজিবির প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সীমান্ত হত্যা ও মাদক পাচার বন্ধে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সম্মিলিত জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করে বিএসএফ। ভারতীয় নাগরিকদের অনুপ্রবেশ বন্ধে উভয় বাহিনী নিজ নিজ দেশের আইন অনুযায়ী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সম্মেলনে বিএসএফ’র পক্ষ থেকে উপস্থাপন করা প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ও বিভিন্ন সীমান্ত স্থাপনা নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা। পাশাপাশি বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুপ্রবেশ এবং বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিকদের উপর হামলা, মাদক, গরু ও বিভিন্ন ধরণের চোরাচালান বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বিজিরি পক্ষ থেকে সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া বা স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া, বিদ্যমান বিধিবিধান ও বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত নকশা অনুসরণ করে প্রস্তাবনা পাঠানোর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/এমও