মানহীন ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ জুন ২০২২ ১৮:১০
ঢাকা: দেশে মানহীন ক্লিনিকের বিরুদ্ধে সারা দেশে আমাদের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলে, আমরা কাউকে হেনস্থা করতে চাচ্ছি না। যারা ভালো করছেন আমরা তাদের সহযোগিতা করব। কিন্তু যারা অন্যায় করবেন আমরা তাদের সঙ্গে নেই। আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (১ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত জাতীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দিবস-২০২২ উপলক্ষে ‘কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ অতিক্রমে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অদম্য যাত্রা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে অসংক্রামক রোগের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। করোনার সময়ে অসংক্রামক রোগ নিয়ে কাজ করতে পারিনি, তাই এ সুযোগে অনেকটাই বেড়েছে। এখন আমরা অসংক্রামক রোগ নিয়ে কাজ করছি।
তিনি বলেন, দেশে অসংক্রামক রোগে ৬৭ ভাগের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়, তাই এটাতে গুরুত্ব দিতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিকের অযাচিত ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা শুধুমাত্র সরকারিতেই থাকে না, অর্ধেক হয় প্রায় বেসরকারিতে। কোভিডে বেসরকারি হাসপাতালগুলোও অনেক ভূমিকা রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণ স্বাস্থ্যসেবা শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালে নেন না, অর্ধেকের বেশি জনগণ সেবা নেন বেসরকারি স্বাস্থ্যখাতে। এটা সত্যি যে, কোভিড মোকাবিলায় বেসরকারি হাসপাতালগুলো অনেক ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সেবায় ১১ হাজার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কাজ করছে। এর মধ্যে অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদের কারণে যাতে সাধারণ মানুষ প্রতারিত না হয় সে দিকে আমরা নজর দিচ্ছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণ ও ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়েছে। দেশের প্রায় ৭৫ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া গেছে। এখনো ৮ থেকে ১০ কোটি মানুষ বুস্টার ডোজের বাইরে। আগামী ৪ জুন থেকে বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন শুরু হবে। বুস্টার নিয়ে আমরা আরও সুরক্ষিত থাকবো।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে দেশে হাতে গোনা কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজ ছিল। বর্তমানে ২০টির মতো ইনস্টিটিউট আছে। তখন কত শয্যা ছিল? বর্তমানে ৬০ হাজার শয্যা। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক, পরিবার পরিকল্পনা ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভূমিকা অনেক বেশি। প্রতিটি উপজেলায় এখন ৫০টি শয্যা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবায় জনবল অনেক বেড়েছে। মন্ত্রণালয়ে তিন লাখ জনবল নিয়ে কাজ করছে। জনবল বৃদ্ধি করে আমরা সেবার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। বর্তমানে পাঁচটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, আগে যেখানে একটিও ছিল না। অনেক হাসপাতাল এখন ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় এসেছে। আগামীতে সব হাসপাতালকেই এর আওতায় আনতে হবে। সফলতার সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করেছি। স্বাস্থ্য অধিদফতরে সক্ষমতায় বিশ্বে করোনা মোকাবিলায় আমরা পঞ্চম ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হয়েছি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহম্মেদসহ অন্যান্যরা।
সারাবাংলা/এসবি