Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পরিবেশ রক্ষায় ১০ দফা দাবি এইচআরপিবি’র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৪ জুন ২০২২ ১৮:২০

ঢাকা: পরিবেশ রক্ষায় ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন হিউম্যান রাইটস এবং পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। শনিবার (৪ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ৫ ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এই দাবি তুলে ধরা হয়।

হিউম্যান রাইটস এবং পিস ফর বাংলাদেশ (HRPB) এর প্রেসিডেন্ট এবং সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের সংগঠনটির পক্ষে থেকে লিখত বক্তব্যে এই দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হচ্ছে- পরিবেশ বিধ্বংসি কাজের সঙ্গে জড়িত যেকোনো জন প্রতিনিধিদের উক্ত পদ থেকে অপসারণ এবং নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার আইন প্রণয়ন করতে হবে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে শক্তিশালি করে কমিশনকে ক্ষমতায়ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং কমিশনকে সরাসরি ক্যাবিনেটের আওতায় পরিচালনা করতে হবে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলায় প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হলে (প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যাতিত) সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত দায়বদ্ধ করার আইন পাস করতে হবে। পরিবেশ অধিদফতরের লোকবল বৃদ্ধি, সকল জেলায় পর্যাপ্ত লোকবলসহ অফিস স্থাপন এবং পরিবেশ রক্ষার কাজে প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্ধ নিশ্চিত করতে হবে।

নদীর পাশে যেকোনো প্রজেক্ট বাস্তবায়িত করতে হলে আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে সি এস রেকর্ড অনুসারে নদীর সীমানা নির্ধারণ করে তা সংরক্ষণ করে উক্ত প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে হবে।

পরিবেশের ক্ষতি করার কারণে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানার কালচার বদ্ধ করে আইন অনুসারে সাজা নিশ্চিত করতে হবে এবং সাজাপ্রাপ্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান তাৎক্ষণিক সাময়িক বন্ধ ঘোষণার আইন প্রণয়ন করতে হবে। পরিবেশ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে জড়িত সকল বিভাগে দক্ষ, সৎ, যোগ্য, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং পরিবেশ নিয়ে পড়াশুনা করা ব্যক্তিদের নিয়োগ করতে হবে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বাজেট ৩ গুণ বৃদ্ধি করে পরিবেশ রক্ষায় কার্যকরি ভূমিকা পালন করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় কাজ করা পরিবেশবাদি আইনজীবি, সাংবাদিক এবং সকল ব্যক্তির সুরক্ষা প্রশাসনিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় দক্ষ ও কার্যকর প্রশাসন গঠন এর লক্ষ্যে পরিবেশ ইন্সটিটিউট গঠন এবং দেশ বিদেশের পরিবেশ বিশেষজ্ঞজ্ঞদের উক্ত কাজে সম্পৃক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এবং সেন্টার ফর গভার্ন্যান্স স্টাডিজ চেয়ারম্যান ড. মনজুর এ. চৌধুরী বলেন, পরিবেশ দূষণের কারণে প্রতিনিয়ত সমুদ্রে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে গ্লোবাল ওয়ার্মিং হচ্ছে, বরফ গলতে শুরু করেছেন। ঠিকমত পানি সরবরাহ না হওয়ার নদী মৃত্যু পর্যায়ে। ইতিমধ্যে অনেক নদীও মারা গেছে। সবগুলোকেই আমরা গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলতে পারি না। কিছু আছে মানুষের তৈরি। এর মধ্যে গড়াইও নদী মরতে বসেছে।

তিনি আরও বলেন, রাজধানী থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরে গিয়ে একটা নদীতে গোসল করার মত পরিবেশ পেয়েছি। ঢাকার বুকে প্রধান প্রধান নদীগুলোগে গোসল করার অনুপযোগী হয়ে ওঠেছে। এই নদীগুলোতে শিশু-কিশোর গোসল করতে নামতে পারে না, মাছ নেই, মাছরাঙা নেই, ঝিনুক নেই। কলকারখানার বজ্রতে পানিকে দূষিত করে ফেলছে। তবে সেখানে পাওয়া যাচ্ছে শাকার মাছ। যারা গরম বজ্র ফেলছে নদীতে তারা ক্রিমিনাল।

মনজিল মোরসেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন,পরিবেশ অধিদফতরের সাবেক ডিজি ড. সুলতান আহমেদ, প্রথম আলোর যুগ্ম-সম্পাদক সোহবার হাসান, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহাসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এআই/এসএসএ

এইচআরপিবি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর