ঢাকা: বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশ এবার ‘বাংলাদেশের অংশীদার প্রতিপাদ্যে প্রতিষ্ঠানটির ‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট ২০২১’ প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে ইউনিলিভার বাংলাদেশের কর্মপ্রক্রিয়া এবং স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও বাংলাদেশের সমাজে কোম্পানিটির প্রভাবের মতো বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে।
শনিবার (৪ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের হাই-কমিশনার রবার্ট চাটার্টন ডিকসন ও ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাভেদ আখতার সহ কোম্পানির বিভিন্ন ক্ষেত্রের অংশীদাররা।
প্রতিষ্ঠাটি জানায়, দেশে ইউনিলিভারের রয়েছে ৫ দশকেরও বেশি সময়ের সমৃদ্ধ ইতিহাস। এ পুরোটা সময় জুড়ে প্রতিষ্ঠানটি দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নের প্রচেষ্টার অগ্রপথিক হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত করেছে। ইউনিলিভার বৈশ্বিক স্ট্র্যাটেজি কম্পাসের প্রতিশ্রুতিগুলোর আঙ্গিকে সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, আমাদের ব্র্যান্ডগুলোর মাধ্যমে আমরা মানুষের জীবনযাত্রা ও দৈনন্দিন অভ্যাসে ইতিবাচক পরিবর্তন আনাকে উৎসাহিত করেছে। শুধুমাত্র তাই নয়, টেকসই উন্নয়নকে ব্যবসার প্রতিটি অংশে অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়ে এবং টেকসই বাংলাদেশ গড়ার যাত্রায় সরকার সহ অন্যান্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
ইউনিলিভার বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন কৌশল ৩টি মূল স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত। সেগুলো হল- পৃথিবীর স্বাস্থ্যের উন্নয়ন; মানুষের স্বাস্থ্য, আত্মবিশ্বাস ও সুস্থতার উন্নয়ন এবং আরও ন্যায্য ও সামাজিকভাবে অন্তৰ্ভুক্তিমূলক বিশ্ব তৈরিতে অবদান রাখা।
ইউনিলিভারের বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি (গ্লোবাল কম্পাস কমিটমেন্ট) অনুযায়ী, ইউনিলভার বাংলাদেশ তার উদ্দেশ্যমুখী ব্র্যান্ড সমূহের মাধ্যমে ভোক্তাদের অভ্যাস পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি ব্যবসায়ের প্রতিটি ধাপে টেকসই কাঠামো নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং টেকসই বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির পথচলায় বাংলাদেশ সরকার সহ বিভিন্ন সেক্টরের বৈচিত্র্যময় অংশীদারদের নিয়ে একটি মাল্টি স্টেকহোল্ডার (বহুমুখী-অংশীজন) মডেল গঠন ও সুপরিচালনায় ইউনিলিভার বাংলাদেশ সবসময় সচেষ্ট রয়েছে। এছাড়া, ইউনিলিভার বাংলাদেশে ২০২১ সালে ১০টি ভিন্ন ভিন্ন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণে টেকসই উদ্যোগ সমূহের মাধ্যমে বিনিয়োগ করেছে ৪৩ কোটি টাকারও বেশি।