অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় মেয়েকে খুন, মা গ্রেফতার
৪ জুন ২০২২ ১৮:৩৭
বরিশাল: অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় মেয়েকে খুন করেছেন মা ও তার প্রেমিক। পরে হত্যার ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের শিকার কিশোরীর নাম তন্নি আক্তার (১৩)।
ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ছোট রাজাপুর গ্রামে।
শনিবার (৪ জুন) সকালে ঘাতক মা লিপি আক্তারকে (৩০) গ্রেফতার করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা মো. সোহরাব হাওলাদারের স্ত্রী।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে কাউনিয়া থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) উত্তর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার এ তথ্য জানান। প্রেস ব্রিফিংকালে কাউনিয়া জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম শামীম, কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছগির হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার জানান, লিপি আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান একই ইউনিয়নের রামকাঠি গ্রামের নুরু খানের ছেলে কবির খান। ঘটনার দিন (২৭ মে) দুপুরে লিপি আক্তার নিজ ঘরে তার প্রেমিক কবির খানের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। যা দেখে ফেলে তার মেয়ে তন্নি আক্তার (১৩)। এ সময় তন্নি এ ঘটনা তার বাবাকে বলে দেওয়ার কথা বলে।
এ জন্য মা লিপি আক্তার ও তার প্রেমিক কবির খান মিলে তন্নিকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। মৃত্যু নিশ্চিত করে তন্নিকে গলায় দড়ি দিয়ে ঘরে ঝুলিয়ে রাখেন। তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে গ্রামবাসীর কাছে জানান মা লিপি।
এ ঘটনায় গত ২৭ মে কাউনিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার সূত্র ধরে তদন্তে নামে কাউনিয়া থানা পুলিশ।
ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে মূল রহস্য উদঘাটন করেন কাউনিয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ছগির হোসেন। এরপর শনিবার সকালে ঘাতক মা লিপি আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন নিহত তন্নির বাবা সোহরাব হাওলাদার। হত্যার কাজে ব্যবহৃত সকল আলামত জব্দ করা হয়েছে। প্রেমিক কবির খান ঘটনার দিন থেকেই আত্মগোপনে রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতার মা হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সারাবাংলা/একে