Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘দেশের চাহিদা মিটিয়ে চা রফতানির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ জুন ২০২২ ২৩:০৬

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের চাহিদা মিটিয়ে চা বিদেশে রফতানির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চা সম্ভাবনাময় রফতানি শিল্প। বাংলাদেশের চা এর মান উন্নত হওয়ার কারণে বিশ্ববাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। দেশে চা এর উৎপাদন বাড়ছে, একইসঙ্গে, অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ছে। সে জন্য প্রত্যাশা মতো চা রফতানি করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে দেশে চা উৎপাদন হতো ৬০ মিলিয়ন কেজি। ২০২১ সালে উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৯৬.৫১ মিলিয়ন কেজি। তারপরও তেমন রফতানি করা সম্ভব হচ্ছে না। চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব না হলে, বিদেশ থেকে চা আমদানি করে দেশের মানুষের চাহিদা মিটাতে হতো।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৪ জুন) ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ টি বোর্ডের উদ্যোগে ২য় জাতীয় চা দিবস-২০২২ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন।

এদিকে, এবারের জাতীয় চা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘চা দিবসের সংকল্প, সমৃদ্ধ চা শিল্প।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে দেশের উত্তরাঞ্চলে চা উৎপাদন শুরু হয়। ২০২১ সালে সেখানে ১৪.৫৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম জেলায় এখন চা উৎপাদন হচ্ছে। ওই অঞ্চলের মানুষ চা উৎপাদনে মনোযোগী হয়েছেন। সেখানে অনেক পতিত জমিতে চা উৎপাদন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, চা এর উৎপাদন বাড়াতে সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছে। চা এর নতুন জাত উদ্ভাবণ, উৎপাদন বৃদ্ধি, নিলাম, বাজারজাতকরণসহ প্রয়োজনীয় সবক্ষেত্রে সরকার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, চা গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। এক সময় রফতানির ক্ষেত্রে চা ছিল দ্বিতীয়স্থানে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পরাজিত শক্তি চা শিল্পের ব্যাপক ক্ষতিসাধণ করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ চা শিল্পকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন। তারই ফলশ্রুতিতে চা শিল্প আজ এ অবস্থানে এসেছে।

তিনি বলেন, চা শিল্পের রিটার্ন খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় না। চা বাগান থেকে পাতা আহরণে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ বছর। চা শিল্পে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ দরকার।

প্রসঙ্গত, এ বছর দেশে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তার জন্মশতবার্ষিকীতে চা শিল্পে অসামান্য অবদান এবং চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালন করা হচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ওমর হান্নান, বাংলাদেশিয় চা সংসদের সভাপতি এম শাহ আলম এবং অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম।

সারাবাংলা/জিএস/একেএম

চা রফতানি জাতীয় চা দিবস বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর