সুপ্রিম কোর্টে প্রদান তথ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার নির্দেশ
৫ জুন ২০২২ ১৫:৪৬
ঢাকা: তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টে তথ্য প্রদান কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে এতে একজন কর্মকর্তাকে কেন নিয়োগ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে তথ্য প্রদান কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৫ জুন) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে গত ২৬ মে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ রিট দায়ের করেছিলেন। ওই রিটে বলা হয়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারাবদ্ধ সচেতন নাগরিক হিসেবে তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ২০ নং আইন) প্রণয়ন করা হয়।
জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা হলে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারি ও বিদেশি অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারি সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে, দুর্নীতি হ্রাস পাবে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
এতে আরও বলা হয়, আইনের ধারা-৩ মতে অন্যান্য প্রচলিত আইনের বিধানাবলির ওপর ওই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাবে। আইনের ধারা-৪ মতে কর্তৃপক্ষের নিকট হতে প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য লাভের অধিকার থাকবে এবং কোনো নাগরিকের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে।
আইনের ধারা ২(খ)(অ) এ প্রদত্ত সংজ্ঞা অনুসারে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এ আইনের আওতাধীন একটি কর্তৃপক্ষ। ওই আইনের ধারা ১০ অনুযায়ী তথ্য সরবরাহের নিমিত্তে প্রত্যেক কর্তৃপক্ষ তথ্য প্রদান ইউনিটের জন্য একজন করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করবে।
আইনের বিধানের প্রতিপালনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আইন প্রণয়নের এক যুগেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে এমন কোনো কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
এ পরিস্থিতিতে নাগরিকের তথ্য লাভের অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর বিধান প্রতিপালনের নিমিত্তে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে তথ্য প্রদান ইউনিট চালু এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা অত্যাবশ্যক।
তারও আগে গত ৬ মে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস