Wednesday 23 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হাজতখানায় তারেকের পিএস অপুর সঙ্গে ১৫ নেতাকর্মীর সাক্ষাৎ!

আরিফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৫ জুন ২০২২ ১৭:৩০ | আপডেট: ৫ জুন ২০২২ ১৭:৫৬

তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারীর সঙ্গে হাজতখানায় যারা সাক্ষাৎ করেছেন, তাদের মধ্যে ছিলেন এই তিন জন

ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপুর সঙ্গে মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ভেতরে ১৫ নেতাকর্মীর গোপনে সাক্ষাৎ করার কথা জানা গেছে। জনপ্রতি দুই হাজার টাকার বিনিময়ে পুলিশই এ সুযোগ করে দিয়েছে বলে সারাবাংলার কাছে স্বীকার করেছেন অপুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করা একজন। তবে পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

রোববার (৫ জুন) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত প্রায় সোয়া ঘণ্টা ধরে এক জন এক জন করে অপুর সঙ্গে হাজতখানার ভেতরে দেখা করেন। পুলিশের সহায়তাতেই এই সাক্ষাৎ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে হাজতখানার ভেতরে অপুর সঙ্গে কারও সাক্ষাৎ বা বৈঠকের তথ্য অস্বীকার করেছেন হাজতখানা কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে অপুর বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলাটিতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করার জন্য আজ রোববার দিন নির্ধারণ করা ছিল। এই মামলাতেই অপুকে সকাল ১০টার দিকে হাজির করা হয় আদালতে। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের এজলাসে তাকে তোলা হয়। আদালত আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আগামী ৩ জুলাই অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন।

মামলার শুনানিতে অংশ নিতে এসেছিলেন তারেক রহমানের পিএস মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপু (হুইল চেয়ারে বসা)

এরপর, সকাল পৌনে ১১টার দিকে আদালত থেকে অপুরে নিয়ে যাওয়া হয় হাজতখানায়। মিনিট দশেক পর থেকেই তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ খুঁজতে থাকেন বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন বলেন, এসময় টাকার বিনিময়ে অপুর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয় বেশ কয়েকজনকে। জানা গেছে, জনপ্রতি দুই হাজার টাকা করে নিয়ে পুলিশই অন্তত সাত-আট জনকে অপুর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ করে দেন।

বিজ্ঞাপন

এই কৌশলে অপুর সঙ্গে দেখা করেন খোকন নামে একজন। তিনি বলেন, অপু ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। ২ হাজার টাকা লেগেছে দেখা করার জন্য। তবে কনস্টেবলকে অতিরিক্ত বকশিস হিসেবে আরও ২০০ টাকা দিতে হয়েছে। বাকি টাকা দিতে হয়েছে হাজতখানার ওসিকে।

জানতে চাইলে অবশ্য হাজতখানার ইনচার্জ পুলিশের উপপরিদর্শক সাদিকুল সাদিক অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, আজ (রোববার) মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপু নামে এক আসামির মামলার শুনানি ছিল। তিনি হাজাতখানায় থাকা অবস্থায় কারও সঙ্গে তার সাক্ষাতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ প্রসঙ্গে ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, হাজতখানায় কোনো আসামির সঙ্গে আদালতের অনুমতি ছাড়া কারও দেখা করার সুযোগ নেই। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তবে তা ঘুবই খারাপ হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে আমি খোঁজ নিয়ে দিখছি।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু সারাবাংলাকে বলেন, এমন কিছু হয়ে থাকলে তা অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তে করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

এর আগে, একই আদালতের নারী হাজতখানায় এ বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত শামিমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে দুই তরুণ গোপন বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ উঠে। ওই ঘটনায় হাজতখানার ইনচার্জ নৃপেন কুমার বিশ্বাসকে প্রত্যাহার করা হয়।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

টপ নিউজ টাকার বিনিময়ে সাক্ষাৎ তারেক রহমান তারেক রহমানের পিএস হাজতখানায় সাক্ষাৎ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর