জনস্বার্থে পেট্রোবাংলা পরিচালনার বিধান রেখে সংসদে বিল উত্থাপন
৫ জুন ২০২২ ২৩:১৯
ঢাকা: জনস্বার্থে ও বাণিজ্যিক বিবেচনায় পেট্রোবাংলা পরিচালনার বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ গ্যাস, তেল ও খনিজসম্পদ করপোরেশন আইন-২০২২’ বিল সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।
রোববার (৫ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম (বাজেট) অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এদিন সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
‘পেট্রোবাংলা আইন-১৯৮৯’র ভিত্তি আইন ‘বাংলাদেশে ওয়েল গ্যাস অ্যান্ড মিনারেল করপোরেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৮৫’ রহিত করে সংশোধিত ও পরিমার্জিত আকারে বাংলা ভাষায় আইনটি প্রণয়ণ করা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, বিলে করপোরেশনের চেয়ারম্যান, পরিচালকসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কার্যসম্পাদনকালকে ‘জনসেবক’ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, ‘পরিচালনা পরিষদ জনস্বার্থে বাণিজ্যিক বিবেচনায় ইহার দায়িত্ব পালনের করিবে এবং সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করিবে।’
বিলে শেয়ার হস্তান্তরের বিধান রাখা হয়েছে। করপোরেশনের শেয়ারগুলো সরকারের অনুমোদনক্রমে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত করতে পারবে। এছাড়া অধীনস্থ কোম্পানি থেকে লেভি, ফি, চার্জ, আদায় করতে পারবে।
এতে আরো বলা হয়েছে, করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন হবে ৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া পরিশোধিত মূল ধন হবে দুইশত কোটি টাকা। সরকার গেজেট দ্বারা মূলধনের পরিমাণ হ্রাসবৃদ্ধি করতে পারবে। করপোরেশন সরকারের অনুমোদনক্রমে দেশি-বিদেশি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো উৎস বা ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ বা অনুদান গ্রহণ করে মূলধন বৃদ্ধি করতে পারবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতি বলা হয়েছে, ১৯৮৫ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশে ওয়েল গ্যাস অ্যান্ড মিনারেল করপোরেশন (বিওজিসি) ও বাংলাদেশ মিনারেল এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনকে (বিএমইডিসি) এক করে বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (বিওজিএমসি) গঠন করা হয়। পরে ১৯৮৯ সালে আশিংক সংশোধনের মাধ্যমে এই কর্পোরেশনকে ‘পেট্রোবাংলা’ নামে নামকরণ করা হয়।
ওই অধ্যাদেশের মাধ্যমে তৈল, গ্যাস ও খনিজ অনুসন্ধান ও উন্নয়নের উদ্দেশ্যে গঠিত কোম্পানিগুলোর শেয়ার ধারণের ক্ষমতা অর্পন করা হয়। ২০১৩ সালের মন্ত্রিসভা বৈঠকে আদালতের নির্দেশে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বরের মধ্যে জারিকৃত বিলুপ্ত অধ্যাদেশগুলোর মধ্যে যেসব আবশ্যিক বিবেচিত হবে সেগুলো সংশোধন ও পরিমার্জন করে বাংলা ভাষায় প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম