সীতাকুণ্ডে হতাহতের ঘটনায় মানবাধিকার কমিশনের শোক
৫ জুন ২০২২ ২৩:৫০
ঢাকা: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে শ্রমিক, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সদস্য হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
রোববার (৫ জুন) বিকেলে কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম এক শোকবার্তায় নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। একইসঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানান।
কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহানা সাঈদ সারাবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নাছিমা বেগম বলেন, ‘শনিবার রাত নটার দিকে সীতাকুণ্ডের একটি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে শুরুতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় যা এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ডিপোতে আমদানি হয়ে আসা এবং রফতানিমুখি প্রচুর মালবাহী কনটেইনার ছিল। যার মধ্যে রাসায়নিক পদার্থও ছিল। অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত এবং প্রায় সাড়ে চারশর বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা যায়। ২৬ একর জায়গা জুড়ে কনটেইনার ডিপো পুরোটাই ধ্বংস হয়ে গেছে।’
গণমাধ্যম আরও জানা যায়, ডিপোর মালিকপক্ষ শুরুতে এসব কনটেইনারে যে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড/ দাহ্য পদার্থ রয়েছে তা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের জানায়নি। ফলে দাহ্য পদার্থ থাকলে যে ধরণের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিতে হয় তা ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিতে পারেনি যার ফলে এই মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বিবেচ্য অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিস কর্মী, পুলিশ ও শ্রমিকদের হতাহতের দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনভাবে এড়াতে পারেনা বলে কমিশন মনে করে।
এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বিধায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ উদঘাটন করে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওয়ায় আনা প্রয়োজন।
অগ্নিকাণ্ডে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে উপযুক্ত সহায়তা সুনিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছে কমিশন।
সারাবাংলা/ইউজে/এমও