Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ধানমন্ডি আইডিয়ালের অধ্যক্ষকে ষড়যন্ত্র করে সরানোর দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৬ জুন ২০২২ ১৭:৩১

ঢাকা: রাজধানীর ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তিনি। তার দাবি, তাকেসহ তিন শিক্ষককে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (৬ জুন) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের বহিষ্কার হওয়া শিক্ষক তরুণ কুমার গাঙ্গুলী, তৌফিক আজিজ চৌধুরীসহ সাবেক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

জসিম উদ্দিন জানান, সাবেক অধ্যক্ষ শামছুল আলমের অনুসারীরা ফের তাকে এ পদে বসাতে ষড়যন্ত্র হিসেবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ম্যানেজিং কমিটি বাধ্য হয়ে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেছে।

তার দাবি, ‘কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. শামছুল আলম দায়িত্বে থাকা সময়ে তার নিকট আত্মীয়-স্বজন ও নিজ এলাকার প্রায় ৫৫ জনকে শিক্ষক-কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেন। তারা জোটবদ্ধ হয়ে মূলত কলেজটিতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছেন। এর আগেও তারা জোটবদ্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে আন্দোলন চালালেও তাতে সফল হয়নি। তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কলেজ প্রশাসনকে হেয়প্রতিপন্ন করে মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য উপস্থাপন করছে। তারা চান না আমি এই কলেজে থাকি। তাদের পচ্ছন্দের ব্যক্তিকে অধ্যক্ষ পদে বসাতে এমন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘শামছুল আলমের দায়িত্বরত সময়ে এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগে অনিয়ম ও ভুয়া অভিজ্ঞতার সদনপত্র যাচাইয়ে গভর্নিংবডির অনুমোদনে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। এসব অনিয়ম ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে তদন্ত চলমান অবস্থায় তারা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। বিভিন্ন স্থানে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করা হয়। সে কারণে চলতি বছরের গত ২৬ মে কলেজের সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এই ঘটনায় কলাবাগান থাকায় একটি সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ এসে ঘটনার সত্যতা পায়। তারা কলেজের ক্ষতি করেই থামেনি, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ফেসবুকে প্রচার করে কলেজ বিরোধী তীব্র আন্দোলন শুরুর আহ্বান জানায়। সেটি না করলে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে দেওয়া হবে না বলে ভয়ভীতি দেখানো হয়। সে কারণে শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনে যুক্ত হয়।’

বিজ্ঞাপন

বহিষ্কৃত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষের যৌথ সই ছাড়া এককভাবে কলেজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করা সম্ভব নয়। এটি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও কলেজের উন্নয়ন কাজে ব্যয় হিসেবে উত্তোলন করা হয়েছে।’ বিভিন্ন সময় উত্তোলন করা টাকার বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠানে কোনো অধ্যক্ষকে এক বছরের বেশি থাকতে দেওয়া হয় না। শামছুল আলমের অনুসারীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হলে নানা ধরণের অভিযোগে আন্দোলন করে তাকে সরিয়ে দেন। সেখানে আমি বিগত পাঁচ বছর ধরে সফলভাবে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।’ এই সময়ে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

অধ্যক্ষ ধানমন্ডি আইডিয়াল ষড়যন্ত্র

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর