‘সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের দূষণ পৌঁছাতে পারে ঢাকায়’
৭ জুন ২০২২ ০৮:৪৩
ঢাকা: বাংলাদেশ বিজ্ঞান শিল্প ও গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান (বিসিএসআইআর) ড. আফতাব আলী শেখ বলেছেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণের প্রভাব দুয়েক দিনের মধ্যে ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। সীতাকুণ্ডের সেই ডিপোতে শুধু হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড থাকলে এ বিস্ফোরণ হতো না। আমি নিশ্চিত সেখানে অন্য রাসায়নিক ছিল এবং যার যথাযথ ব্যবস্থাপনা ছিল না। একাধিক রাসায়নিকের মিশ্রণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৬ জুন) পরিবেশ অধিদফতরের অডিটোরিয়ামে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে পরিবেশ অধিদফতর ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। সভার শুরুতেই সীতাকুণ্ডে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
ড. আফতাব আলী শেখ বলেন, সীতাকুণ্ডের ডিপোতে একাধিক ক্যামিকেলের অনিয়ন্ত্রিত উপস্থিতি ছিল। ডিপোতে শুধু হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড থাকলে এই বিস্ফোরণ হতো না। সেখানে অন্য রাসায়নিক ছিল এবং সেটার যথাযথ ব্যবস্থাপনা ছিল না। ফলে একাধিক রাসায়নিকের মিশ্রণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
যার প্রভাব আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ড. আফতাব আলী শেখ। তিনি বলেন, রাসায়নিক দূষণ এক জায়গায় থেমে থাকে না। এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে মানুষের ক্ষতি করে। সীতাকুণ্ডের দূষণও ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছাবে।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। বাপার যুগ্ন সম্পাদক ও বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়ক মিহির বিশ্বাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাপার সহ-সভাপতি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদার।
সভায় স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ক্যাপসের গবেষণা সহকারীসহ ১৬টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সারাবাংলা/এসবি/এএম