Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উল্টো পথের মোটরসাইকেল থামানোর কারণেই সার্জেন্টকে মারধর: পুলিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৭ জুন ২০২২ ১৭:২৭

ঢাকা: রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় মারধরের শিকার হয়েছেন এক ট্রাফিক সার্জেন্ট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্য বলছে, মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহীকে হয়রানি করার কারণেই বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের মারধর করেছে। তবে পুলিশের দাবি, উল্টো পথে আসা মোটরসাইকেল থামানোর কারণেই ওই ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেনকে মারধর করা হয়েছে।

একই ঘটনায় আরও দুই পুলিশ সদস্যও মারধরে আহত হয়েছেন। তাদের রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ট্রাফিক বক্স। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াও চলছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখারুল আলম সারাবাংলাকে এসব কথা বলেন। এর আগে, সকালে জুরাইনে এ ঘটনা ঘটে।

ডিসি শাহ ইফতেখারুল আলম বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জুরাইন রেলগেট এলাকায় উল্টো পথে থেকে একটি মোটরসাইকেল আসছিল। এক তরুণ মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন, এক নারী ছিলেন আরোহী। সার্জেন্ট আলী হোসেন মোটরসাইকেলটি থামাতে বললে চালক পরিচয় জানতে চান। এরপর কাগজপত্র দেখতে চাইলে চালক তার সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে ট্রাফিক বক্সে যান তারা। সেখানেও তর্কাতর্কি চলে। এসময় নারী আরোহী চিৎকার করতে থাকেন যে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। এতে সুযোগসন্ধানী কিছু লোক হামলা করে।

আরও পড়ুন- জুরাইনে ট্রাফিক বক্সে হামলা, ৩ পুলিশ আহত

ডিসি বলেন, হামলার সময় মোটরসাইকেলের চালক সার্জেন্টের গলায় পা তুলে দিয়ে চেপে ধরেন। এসময় কেউ একজন সার্জেন্টের হাতে ছুরিকাঘাত করেন। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করতে ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম ও শ্যামপুর থানার এসআই উৎপল চন্দ্র সেখানে যান। এসময় তাদেরও মারধর করা হয়। পরে শ্যামপুর থানার অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

বিজ্ঞাপন

মারধরের শিকার হওয়ার পর আলী হোসেনকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার হাতে ২১টি সেলাই দিতে হয়েছে। অন্যদিকে ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম ও এসআই উৎপল চন্দ্রকে বাকি দু’জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সদস্যদের মারধরের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শাহজাহান আকন্দ নামে এক পথচারী। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, একটু আমি সেখানে গিয়েছি। তাই শুরুর দিকে কী হয়েছে, তা দেখিনি। তবে শুনেছি, ট্রাফিক সার্জেন্ট মোটরসাইকেল আটকে হয়রানি করেছেন। এ নিয়েই মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশকে (ট্রাফিক সার্জেন্ট) অনেক লোক মারধর করছেন, এমনটাই দেখেছি। তাছাড়া ট্রাফিক বক্স ভাঙচুর করতেও দেখেছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, মোটরসাইকেলের চালক রনি ও আরোহী তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশাতসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে রনি নিজেকে বার্তা বিচিত্রা নামে পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছেন। আটক আরেকজন রনির শ্যালক ইয়াসির আরাফাত ভুইয়া। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

টপ নিউজ ট্রাফিক সার্জেন্টকে মারধর পুলিশ বক্ম ভাঙচুর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর