Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অবসর নেওয়া বিচারকদের ২ ভাতার বিধান রেখে সংসদে বিল উত্থাপন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৭ জুন ২০২২ ১৯:৪১

ফাইল ছবি

ঢাকা: অবসরে যাওয়া বিচারকদের জন্য উৎসব ভাতা ও বাংলা নববর্ষ ভাতার বিধান রেখে ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইন ২০২২’ বিল সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। বিলে বিচারকদের পূর্ণ বৎসরের জন্য অতিরিক্তি পেনশন হিসেবে মাসিক সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৫শ টাকা এবং প্রধান বিচারপতির অবসরোত্তর সুবিধা গত বছরের মে মাস থেকে কার্যকর করার বিধান রাখা হয়েছে বিলে। এছাড়া অবসরের পর বিচারকরা যে পরিমাণ গ্রস-পেনশন প্রাপ্য হবেন, তার অর্ধেক বাধ্যতামূলকভাবে সমপর্ণেরও বিধান রাখা হয়েছে এতে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৭ জুন) সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ১৮তম (বাজেট) অধিবেশনের তৃতীয় দিনে বিলটি উত্থাপন করা হলো।

‘সুপ্রিম কোর্ট জাজেস (লিভ, পেনশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২’ রদ করে মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিলটি নতুন করে প্রণয়ন করা হয়েছে। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো বিচারক পূর্ণ গড় বেতনে ছুটিতে থাকাকলে মাসিক বেতনের সমহারে এবং অর্ধ গড় বেতনের ছুটিতে থাকাকলে মাসিক বেতনের অর্ধেক হারে ছুটিকালীন বেতন পাবেন। পূর্ণ গড় বেতনে প্রদত্ত ছুটি অর্ধ গড় বেতনে প্রদত্ত ছুটির দ্বিগুণ হিসেবে গণনা করা হবে। তবে অর্ধ গড় বেতনে প্রাপ্য ছুটির হিসাব সংরক্ষিত থাকতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, কোনো বিচারক তার মোট কর্মকালীন ছুটির শর্তানুযায়ী অর্ধ গড় বেতনে ৩৬ মাস ছুটি ভোগ করতে পারবেন। এছাড়া পূর্ণ গড় বেতনের ছুটি এককালীন পাঁচ মাস এবং অন্য কোনো ছুটি ১৬ মাসের বেশি হবে না। কোনো বিচারক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে বা অবসর নিলে কোনো ছুটি মঞ্জুর করা হবে না। কোনো বিচারক অনভিপ্রেত কোনো আঘাতের দ্বারা আহত হয়ে কাজে অক্ষম হলে বিশেষ অক্ষমতা ছুটি প্রাপ্য হবেন। এছাড়া কোনো বিচারক অনুমোদিত ছুটি বা অবকাশের অতিরিক্ত অনুপস্থিতিকালের জন্য কোনো বেতন প্রাপ্য হবেন না। ছুটি মঞ্জুরের ক্ষমতা থাকবে রাষ্ট্রপতির ওপর।

বিলে পেনশনের শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, কমপক্ষে পাঁচ বছর পেনশনযোগ্য কর্মকাল সমাপ্তির পর বা অবসর গ্রহণের বয়সসীমা পৌঁছার আগে অসুস্থতাজনিত কারণে অবসরে গেলে বা অপসারিত হলে বা ১০ বছর পেনশনযোগ্য কর্মকাল সমাপ্তির পর বা অবসর গ্রহণের বয়সসীমায় পৌঁছার আগে পদত্যাগ করলে বিচারকরা পেনশন সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে জুডিশিয়াল সার্ভিসে কর্মরত বিচারকদের জন্য নিজস্ব সার্ভিসের অনুমোদিত হিসেবে পেনশন প্রাপ্য হবেন। এছাড়া অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় স্থায়ী নিয়োগ পেলে অস্থায়ী কর্মকাল স্থায়ীকাল হিসেবে গণ্য হবে। মাসিক পেনশন সাকুল্যে সবশেষ উত্তোলিত বেতনের বেশি হতে পারবে না। বিলে বিচারকদের আঘাতজনিত আনুতোষিক এবং পেনশন সুবিধা পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে সংবিধানের সপ্তম সংশোধন বাতিল ঘোষিত হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৩ সালের আইন দ্বারা ‘সুপ্রিম কোর্ট জাজেস (লিভ, পেনশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ কার্যকর রাখা হয়। অধ্যাদেশটির আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলায় নতুন আইন আকারে ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইন’ বিল ২০২২ প্রণয়ণ করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

বিচারকদের বিশেষাধিকার সংসদ অধিবেশন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আইন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর