চট্টগ্রামে জোনায়েদ সাকির ওপর হামলা, ছাত্রলীগকে দায়ী করছে গণসংহতি
৭ জুন ২০২২ ২০:১০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ তার রাজনৈতিক সহকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় জোনায়েদ সাকিসহ সাত জন আহত হয়েছেন। এ হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করছে গণসংহতি আন্দোলন।
মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনে এই হামলা হয়। সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন ও বিস্ফোরণে দগ্ধ ও আহতদের দেখে সংবাদ সম্মেলন করে ফেরার সময়ই তাদের ওপর এই হামলা ঘটে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন— গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমি ও সদস্য সচিব ফরহাদ জামান, ছাত্র ফেডারেশন চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক শ্রীধাম কুমার শীল, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান ও জসীম উদ্দিন এবং সদস্য কামরুন নাহার ডলি। আহতরা সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরে গণসংহতি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপো এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা যান চমেক হাসপাতালে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ডিপোতে বিস্ফোরণে আহতদের দেখে বিকেল পৌনে ৬টার দিকে চমেক হাসপাতাল থেকে বের হন জোনায়েদ সাকিসহ অন্যরা। তারা যখন গাড়িতে উঠছিলেন, ওই সময়ই জোনায়েদ সাকিসহ অন্যদের ওপর কে বা কারা হামলা চালায়।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগকে দায়ী করছে গণসংহতি আন্দোলন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ ও তাসলিমা আখ্তার এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, সীতাকুণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরজমিনে পরিদর্শন ও আহতদের সঙ্গে কথা বলার পর নেতারা চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে বেরিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুরো পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এর পরপরই গাড়িতে ওঠার সময় ’জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিনা উসকানিতে নেতাদের ওপর হামলা করেন। এসময় জোনায়েদ সাকির মুখমণ্ডল রক্তাক্ত হয় ও তার হাত জখম হয়। তাকে বহনকারী গাড়ি ভাঙচুর করে ছাত্রলীগ। নেতাদের অনেকেই গাড়ির ভাঙা কাঁচে বিদ্ধ হন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বলেন, তিনি কি আমাদের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী? তার ওপর কেন হামলা করতে হবে? এটি ভাইরাল হওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা। সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণের পর থেকে তো হাজার হাজার মানুষ আসছে। কারও কোনো সমস্যা হয়নি। এমনকি বিএনপি নেতা আমির খসরু সাহেব এসেছিলেন এখানে। দেখা শেষে তিনিও তো ঠিকঠাক চলে গেছেন। উনারও তো কোনো সমস্যা হয়নি। তাহলে এই অভিযোগ কেন আসছে, সেটাই তো বোধগম্য না।
এ বিষয়ে জানতে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীন মজুমদারের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে থানায় কর্তব্যরত কর্মকর্তা মাজহার পলাশ সারাবাংলাকে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। একইসঙ্গে কোনো মামলার বিষয়েও কেউ থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এসএন/এসবি/টিআর