পুলিশের ওপর হামলা, শ্যালক-দুলাভাইসহ ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন
৮ জুন ২০২২ ১৫:০৮
ঢাকা: রাজধানীর জুরাইনে ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন পুলিশ সদস্যকে মারধর ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শ্যালক-দুলাভাইসহ ৫ জনের সাত দিনের জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেছেন পুলিশ।
বুধবার (৮ জুন) মামলাটিরর তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ ৫ আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এই বিষয়ে শুনানি অনুষ্টিত হবে।
এছাড়াও এই মামলায় ইয়াসিন জাহান নিশান নামে এক আইনজীবীকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
এ মামলায় মোটরসাইকেলের চালক ও বার্তা বিচিত্রা পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া সোহাগ উল ইসলাম রনি, তার শ্যালক ইয়াসিন আরাফাত ভুঁইয়া, শরিফ, নাহিদ ও রাসেলের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৭ জুন জুরাইন রেলগেট দিয়ে উল্টোপথে আসা একটি মোটরসাইকেলকে গতিরোধ করলে সার্জেন্ট আলী হোসেনের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান মোটরসাইকেল আরোহী সোহাগ উল ইসলাম রনি ও তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে লোকজন জড়ো হওয়ায় ওই এলাকার ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) বিপ্লব ভৌমিক কয়েকজন কনস্টেবল নিয়ে এসে তাদের সবাইকে মীমাংসার জন্য সড়কে থাকা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে নিয়ে যান। এ সময় মোবাইলে ইয়াসিন জাহান নিশান বিষয়টি তার ভাই ইয়াসির আরাফাতকে জানান। তিনি লোকজন নিয়ে এসে পুলিশ বক্সে প্রবেশ করেন। এরপর পুলিশ বক্স ভেঙে তারা বের হয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: জুরাইনে ৩ পুলিশকে মারধর: অজ্ঞাত ৪৫০ জনের নামে মামলা
ট্রাফিক বক্সের গ্লাস দিয়ে সার্জেন্ট আলী হোসেনকে আঘাত করলে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা কেটে যায়। উত্তেজিত হামলাকারীরা পুলিশ ইউনিফর্মে থাকা সবার ওপরই হামলা করে। এ সময় শ্যামপুর থানার এসআই উৎপল চন্দ্র ও এসআই সাকিব সেখানে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়।
ওই ঘটনায় গত ৭ জুন সার্জেন্ট আলী হোসেন শ্যামপুর থানায় পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের কাজে বাধা, হত্যাচেষ্টা ও সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটির এজাহারভুক্ত তিন জনের নাম উল্লেখসহ ৩৫০/৪০০ অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এআই/এনএস