‘চীনে রফতানি বাড়াতে দুই দেশের সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে’
৮ জুন ২০২২ ১৫:২০
ঢাকা: চীনের বাজারে রফতানি বাড়াতে দুই দেশের সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে বলে অভিমত জানিয়েছেন বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (বিসিসিসিআই)’র সভাপতি ও গাজী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা।
তিনি বলেন, ‘গুণগত পণ্যের মাধ্যমে চীনের মার্কেট আমাদের ধরতে হবে। দুই দেশের মধ্যে যে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে তা কমিয়ে আনতে হবে। এক্ষেত্রে দুই দেশের সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে।’
বুধবার (৮ জুন) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘চীনের বাজারে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) ও রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)র ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র্যাপিড চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন র্যাপিড এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মো. আবু ইউসুফ।
বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (বিসিসিসিআই)’র সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘সত্যিকারের বন্ধু ও উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে চীন আমাদের পাশে থাকায় আমরা গর্বিত। প্রকৃতপক্ষে আমরা সেই প্রজন্ম, যে প্রজন্মটি বৈশ্বিক অর্থনীতির পাল্লা আটলান্টিক থেকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে, অথবা অন্যভাবে বললে পশ্চিম থেকে পুবে স্থানান্তরের সাক্ষী।’
তিনি বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যেই চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের সম্ভাব্য বাণিজ্য অংশীদার এবং সবচেয়ে শক্তিশালী উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে চীনকে পাশে পেয়ে আমরা দেশটির জনগণ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। রফতানিতে চীন তার বাজারে বাংলাদেশকে ৯৮ শতাংশ কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে। চীনের দেওয়া শূন্য-শুল্ক প্রবেশাধিকার সুবিধা সত্ত্বে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যের তুলনায় চীনে বাংলাদেশ থেকে রফতানির পরিমাণ এখনও নগণ্য।’
গাজী গোলাম মর্তুজা আরও বলেন, ‘আমাদের সব অংশীজন, বিশেষ করে বাংলাদেশ সরকারকে বিষয়টি আরও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। চীনে কিভাবে রফতানি আরও জোরদার করা যায় এবং বাংলাদেশেও চীনের বিনিয়োগ কিভাবে বাড়ানো যায়— এ সব বিষয়ে আমাদের সম্ভাব্য উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’
আরও পড়ুন
উন্নয়নের জন্য দরকার শান্তি-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা: চীনা রাষ্ট্রদূত
নতুন অর্থবছরে ৬০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের আশা বাণিজ্যমন্ত্রীর
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে