Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উন্নয়নের জন্য দরকার শান্তি-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা: চীনা রাষ্ট্রদূত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৮ জুন ২০২২ ১৭:০৯

ঢাকা: উন্নয়নের জন্য শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি বলেছেন, উন্নয়নের জন্য শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা খুবই প্রয়োজন। এই অঞ্চলের (এশিয়া) রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর উন্নয়ন নির্ভর করছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এটি খুবই প্রযোজ্য।

বুধবার (৮ জুন) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘চীনের বাজারে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ সব কথা বলেন। বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) ও রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র‍্যাপিড) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (বিসিসিসিআই)’র সভাপতি ও গাজী গ্রু‌পের ব্যবস্থাপনা প‌রিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)র ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র‌্যাপিড চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন র‌্যাপিড এর নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর মো. আবু ইউসুফ।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের অবকাঠামো এখন প্রস্তুত। দেশটিতে প্রায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। এখানে বড় বড় মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। পদ্মাসেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। কর্ণফুলী ট্যানেলের কাজও নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছি। চায়না অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজও শেষ পর্যায়ে। সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পলে শিগগিরই এটি উদ্বোধন হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘চীনে বাংলাদেশের রফতানি বাড়াতে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ নিয়ে কাজ করতে হবে। চীনে এসব পণ্য রফতানিতে বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলো নিয়ে দুই দেশকেই কাজ করতে হবে।’

এফটিএ নিয়ে চীন কাজ করছে বলে জানান চীনা রাষ্ট্রদূত। এছাড়া চীনে ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্ক সুবিধা পাবে বলেও জানান তিনি। দুই দেশের জন্যই একটি সুখবর শিগগিরিই আসতে পারে বলেও জানান চীনা রাষ্ট্রদূত।

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আলোচকরা বলেন, চীনের বাজারে বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশকে আরও গুণগত মানের পণ্য উৎপাদন করতে হবে। চীনের মানুষ ভালো ব্রান্ডের পণ্য পছন্দ করে, বাংলাদেশও সব পণ্যের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডের মান নিশ্চিত করতে হবে। পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে আফটার সেলস সার্ভিস থাকতে হবে।

আরও পড়ুন
‘চীনে রফতানি বাড়াতে দুই দেশের সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে’
নতুন অর্থবছরে ৬০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের আশা বাণিজ্যমন্ত্রীর

সারাবাংলা/ইএইচটি/একে

উন্নয়ন চীনের রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর