Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২৯৫টি ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে ২৩১০০০০০ টাকা আত্মসাৎ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৯ জুন ২০২২ ১৯:১৯

বগুড়া: গাবতলীতে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দের প্রায় ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া জেলা দুদকের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলার বিষয়টি তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের টিআর কাবিখা-২ এবং জেলা প্রশাসকের বরাদ্দের ৪৭৪টি কাজে এমন প্রতারণা অভিযোগ উঠে। অনুসন্ধানে ২৯৫টি প্রকল্পের আত্মসাতের তথ্যের ভিত্তিতে এই মামলা করে বগুড়া জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযুক্ত আব্দুল আলীম গাবতলীর সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ছিলেন। বর্তমানে তিনি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার পদে রয়েছেন।

দুদক জানায়, গাবতলী উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের টিআর কর্মসূচির আওতায় ২৮০টি প্রকল্পের বরাদ্দ আসে। এর মধ্যে ২৭৮টি প্রকল্পের কাজ করা হয়।

এছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে গাবতলী পিআইও দফতরে আরও ২০০টি প্রকল্পর বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ বরাদ্দের মধ্যে ১৯৬টি প্রকল্পের কাজ দেখানো হয়। এসব প্রকল্পের প্রতিটির জন্য ৭৮ হাজার ২০২ টাকা বরাদ্দ ছিল। ২০২০ সালে ওই অর্থবছরের কাজ হওয়া প্রকল্পগুলো নিয়ে গাবতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের একটি অভিযোগ ওঠে।

দুদক খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তৎকালীন পিআইও কর্মকর্তা আব্দুল আলীম টিআর কর্মসূচির ২৭৮ ও জেলা প্রশাসকের ১৯৬টি প্রকল্পের টাকা অগ্রিম টাকা দিয়েছেন। পরবর্তীতে দুদক ৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ২৯৫টি প্রকল্প যাচাই করে। এতে এসব কাজের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। অনেকক্ষেত্রে ভুয়া প্রকল্প সভাপতির নাম ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। এভাবে ২৯৫টি প্রকল্পের ২ কোটি ৩০ লাখ ৬৯ হাজার ৭৯৩ টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

দুদকের উপপরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩০ লাখ ৬৯ হাজার ৭৯৩ টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাতের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। এতে দণ্ডবিধি ৪০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।’

সারাবাংলা/এমও

২৯৫টি ভুয়া প্রকল্প টাকা আত্মসাৎ দুদক বগুড়া ভুয়া প্রকল্প

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর