প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছে ডিএসই
৯ জুন ২০২২ ২২:০৪
ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের অধিক শেয়ার আইপিও’র মাধ্যমে হস্তান্তর হলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য কর হার ২২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও বাজেটে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) রাতে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অভিমত তুলে ধরা হয়।
ডিএসইর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের পর পরই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের সভায় প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা করা হয়। ডিএসই মনে করে যে, প্রস্তাবিত বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, উন্নয়ন ও উত্পাদনমুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থনীতিকে গতিশীল করার কৌশল নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উন্নয়ন ও উত্পাদনমুখী যে সু-পরিকল্পিত কর্মপন্থা ও ব্যবস্থাপনা কৌশল বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে, সেজন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বাজেট প্রস্তাবনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে৷
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের অধিক শেয়ার আইপিও’র মাধ্যমে হস্তান্তর হলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য করহার ২২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের বৃহৎ ও স্বনামধন্য কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে। তবে ১০ শতাংশ বা তার কম শেয়ার আইপিও’র মাধ্যমে হস্তান্তরকারী তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২২ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যা পুঁজিবাজারে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ডিএসই বলছে, পুঁজিবাজারকে সম্প্রসারিত ও গতিশীল করার জন্য পুঁজিবাজারের প্রতি সরকারের বিশেষ গুরুত্বারোপকে ডিএসই বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছে। পুঁজিবাজারকে ঘিরে সরকারের এই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের ফলে দেশের শিল্পায়নের গতি তরান্বিত হওয়ার মাধ্যমে পুঁজিবাজার আরও বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে ডিএসই মনে করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকার পুঁজিবাজারকে আন্তর্জাতিককরণের লক্ষ্যে নানাবিধ সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রস্তাবিত বাজেটে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আধুনিক পুঁজিবাজারের বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্ট যথা: ট্রেজারি বন্ড, সুকুক, ডেরিভেটিভ, এসএমই ও এটিবি বোর্ড চালু করা, ইটিএফ চালু করা, ওপেন ইন্ড মিউচুয়্যাল ফান্ড তালিকাভুক্ত করা, পুঁজিবাজারের সহায়ক ইকোসিস্টেম ও সার্বিক সুযোগ সুবিধার উন্নয়ন এবং স্টক এক্সচেঞ্জকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য আগের বছরের বাজেটের শেয়ারবাজারবান্ধব নীতি বলবৎ রাখায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম