ব্যাংক থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়েছেন ১৩৩০৭ জন খেলাপি
৯ জুন ২০২২ ২৩:৩৮
ঢাকা: ব্যাংক থেকে বিশেষ ঋণ সুবিধা নিয়ে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৩০৭ জন খেলাপি গ্রাহক তাদের ঋণ নিয়মিত করেছেন। খেলাপি ঋণ কমানো এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীদের টিকে থাকার সুযোগ নিয়ে মাত্র ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্টে দিয়ে ঋণ নিয়মিত করেছেন এসব ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষ ও আধুনিক ব্যাংকিং খাত গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে খেলাপি ঋণ অন্যতম প্রতিবন্ধক। তাই ঋণ খেলাপি সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে একটি উন্নত ঋণ সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ভালো ঋণগ্রহীতাদের উৎসাহ প্রদান ও ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।’
তিনি বলেন, “যারা যৌক্তিক কারণে ঋণ খেলাপি হয়েছেন, কিন্তু ব্যবসায় চালিয়ে নিতে চান, তাদের ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়া সরকারের অন্যতম দায়িত্ব। খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় টিকে থাকার সুযোগ দানের লক্ষ্যে মাত্র ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্টের ভিত্তিতে ঋণ পুনঃতফসিলের সুবিধা প্রদান করে ‘ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন এক্সিট- সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালা-২০১৯’ জারি করা হয়েছিল। এই সুযোগ গ্রহণ করে নির্ধারিত সময়ে (মার্চ ২০২২ পর্যন্ত) ১৩ হাজার ৩০৭ জন ঋণগ্রহীতা ঋণ নিয়মিত করেছেন।”
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় ব্যাংক ঋণের সুদ হার বাংলাদেশে তুলনামূলক বেশি হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের কিছুটা পিছিয়ে পড়ে। এছাড়াও উচ্চ সুদহারের কারণে ঋণখেলাপি বাড়াতে থাকে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে বিগত অর্থবছরে ব্যাংক ঋণের সুদ হার এক অংকে নামিয়ে আনা হয়।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ঋণপ্রবাহ বাড়াতে ও ব্যাংকে তারল্য ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন নীতিগত সুদহার কমিয়ে ঋণের গড় সুদহার চলতি বছরের মার্চে ৭.১১ শতাংশে নেমে এসেছে। আমানত ও ঋণের সুদহারের পার্থক্য ফেব্রুয়ারি ২০১১ সময়ের ৫.৬৮ শতাংশ থেকে চলতি বছরের মার্চে ৩.১০ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০২১ সালে করোনা অতিমারির মধ্যেও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের মুনাফা ৯.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে।’
সারাবাংলা/জিএস/এমও