Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পলিইথিলিন পণ্যের শুল্ক হার কমানোর প্রস্তাব পুনর্মূল্যায়নের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১০ জুন ২০২২ ০৮:৫৯

ঢাকা: ২০২২-২৩ অর্থবছরে পলিইথিলিনের তৈরি সবধরনের পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক ব্যাগ (ওভেন প্লাস্টিক ব্যাগসহ) ও মোড়ক সামগ্রীর ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ শুল্ক হার হ্রাস করে ১.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে এসব পণ্যের দাম কমে যাওয়ার ফলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ভালো একটি বাজেটের সীমাবদ্ধতা এটি। দেশে পরিবেশগত তিন থেকে চারটি সমস্যার মধ্যে প্লাস্টিক একটি। নিষিদ্ধ ঘোষিত এই পণ্যের দাম কমলে ব্যবহার বাড়বে। এতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বাড়বে। আর ব্যবহার বাড়লেই প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণও বাড়বে, যা পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আশা করছি রিভাইজড বাজেটে এটি পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। এর বিনিময়ে পরিবেশের ক্ষতি কমাতে বায়োডিগ্রেডেবল পণ্যকে প্রমোট করা যেতে পারে। যদি এই সিদ্ধান্ত বদল করা না হয়, সেক্ষেত্রে আমরা পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো থেকে কর্মসূচিতে যাব।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার যেখানে সারা পৃথিবীতে সীমিত করার প্রচেষ্টা চলছে, সেখানে বাজেটে প্লাস্টিক পণ্যের দাম কমানো দূরভিসন্ধিমূলক সিদ্ধান্ত। আমাদের প্রথাগত কৃষিপণ্য, কৃষক ও কৃষিখাতকে এই পদক্ষেপ নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।

এদিকে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব বায়ো পলিমারের উদ্ভাবক পাটবিজ্ঞানী ড. মোবারক আহমেদ খান বলেন, আমরা প্লাস্টিক নয়, সিঙ্গেল ইউজ অর্থাৎ একবার ব্যবহারযোগ্য পলিথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করি। বর্তমানে প্লাস্টিক যে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর তাই নয়, এটি স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই আমাদের সবারই প্লাস্টিক ব্যবহার কমাতে হবে। কিন্তু পলিইথিলিন পণ্যের দাম কমলে এর ব্যবহার বাড়বে এবং অন্যান্য খরচ বাড়বে। যেমন প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ ও প্রক্রিয়াকরণেরও একটি ব্যয় আছে যা ব্যবহার বাড়লে বেড়ে যাবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, তার উদ্ভাবিত পঁচনশীল সোনালি ব্যাগ তুলনামূলক দাম বেশি মনে হলেও এটি মাটির সঙ্গে মিশে যায়। তাই এর পেছনে আলাদা খরচ নাই।

তিনি আরও বলেন, প্লাস্টিকও একসময় সস্তা ছিল না। পরে উৎপাদন বেশি হওয়ায় এর দাম কমেছে। কিন্তু এটি বিনামূল্যে দেওয়া হয় না। আসলে ব্যবসায়ীরা পলিব্যাগের দাম রেখেই পণ্যের দাম নির্ধারণ করে। বায়ো পলিমারও অধিকহারে উৎপাদন হলে এর দামও হাতের নাগালে চলে আসবে বলেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই বিজ্ঞানী। বর্তমান সেটআপে প্রতিদিন এক টন সোনালি ব্যাগের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে।

সারাবাংলা/আরএফ/এএম

২০২২-২৩ অর্থবছর ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর