পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে: নানক
১০ জুন ২০২২ ১৭:০১
ঢাকা: বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জনসভায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ১০ লাখেরও বেশি মানুষের জনসমাগম ঘটানো। তবে এখনো আমরা বলতে পারছি না কত লোক হবে। আমরা আশা করছি, বঙ্গবন্ধুকন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
শুক্রবার (১০ জুন) সকালে ধানমন্ডিতে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী জনসভা সফল করার লক্ষ্যে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
নানক বলেন, সব দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রনায়োকোচিত কারণে তার দৃঢ়তার কারণে, তার সততার কারণে বাঙালি জাতি একাত্তরের পর পদ্মা সেতুর মাধ্যমে এই আরেকটি বিজয় অর্জন করছে বলে দেশের প্রায় ১৮ কোটি মানুষ বিশ্বাস করে। আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে তাদের ভেতরে সেই আমেজ কাজ করছে।
তিনি বলেন, কাজেই আমাদের লক্ষ্য ১০ লক্ষাধিক লোক হলেও আমরা এখনো বলতে পারছি না যে সেখানে কত মানুষের সমাগত হবে। কারণ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষসহ সারাদেশের মানুষের জনসমগাম ঘটবে। এমনকি বাঙালি যারা বিদেশে বসবাস করেন, তারাও এই উদ্বোধনের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করার জন্য বিদেশ থেকেও চলে আসছেন। তাই সেদিন পদ্মার পাড় জনসমুদ্রে পরিণত হবে, এটিই আমরা মনে করছি।
আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছে সরকার। সেতু বিভাগ জানিয়েছে, ওই দিন মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন শেষে জাজিরা প্রান্তের মরহুম ইলিয়াস আহমেদ ফেরিঘাট সংলগ্ন বিস্তীর্ণ পদ্মাপাড়ে জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ বিষয়ে নানক বলেন, আমাদের নেত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তিনি দুই বছর কোভিড মোকাবিলা করেছেন। কোভিডকালে তিনি স্বাস্থ্যবিধির কারণে জনসম্মুখে আসতে পারেননি তেমন। কাজেই দীর্ঘ দুই বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা জাতির উদ্দেশে জনসম্মুখে ভাষণ দেবেন। কাজেই এখানে কত লাখ লোক হবে, আমরা কিন্তু বুঝতে পারছি না। সে কারণেই কিন্তু এই সংগঠনগুলোকে নিয়ে সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষা করার আলোচনা করতে হয়েছে। কেউ বাসে আসবে, কেউ লঞ্চে আসবে, অন্যান্য যানবাহনে চড়ে আসবে। সেগুলো কীভাবে নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখা যায়, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখার কথা জানিয়ে নানক বলেন, জুন মাস গরমের দিন। বৃষ্টিও হতে পারে। এসব বিষয় মাথায় রেখে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে আসা মানুষদের কেউ অসুস্থ হলে যেন তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেজন্য আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা ধারণা করেছি, কমপক্ষে ১০ লাখ লোকের সমাগম হবে পদ্মাপাড়ে। এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তবে সেটি সুনির্দিষ্টভাবে এখনই আমরা বলতে পারছি না। তবে আমাদের উদ্যোগ হলো, জনসমাগম যাই হোক, বিশাল জনসভাকে সাফল্যমন্ডিত করতে হবে।
জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমসহ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জাহাঙ্গীর কবির নানক পদ্মা সেতু পদ্মা সেতু উদ্বোধন