জুরাইনে পুলিশের ওপর হামলা: রিমান্ডে ৪, কারাগারে ১৩ জন
১০ জুন ২০২২ ১৮:০৭
ঢাকা: রাজধানীর জুরাইনে ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন পুলিশ সদস্যকে মারধরের মামলায় ৪ আসামিকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সাত জনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে এবং আরও ৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জুন) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত এই আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া চার আসামি হলেন, আবুল কালাম আজাদ, তানজিল হোসাইন, আহাম্মদ হোসেন ও মোতালেব হোসেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন, আনিছুর রহমান, লিটন, রফিক, বাবুল খান, শহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু, রতন, সানি রহমান, রানা হাওলাদার, ইমরান হোসেন ভূঁইয়া, রুবেল মিয়া, মেহেদী হাসান পাপ্পু, মাহফুজুল হাসান মিন্টু, রাব্বি।
এরআগে এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ওয়ারী) বিভাগের ওয়ারী জোনেল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নি.) রোকনুজ্জামান খান শ্যামপুর থানার মামলায় ১৭ আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এদের মধ্যে রিমান্ডে যাওয়া চার আসামি ও কারাগারে যাওয়া প্রথম ৭ আসামির সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। শেষের ৬ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
শুনানি শেষে আদালত চার আসামির এক দিনের রিমান্ড এবং ১৩ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৭ জুন জুরাইন রেলগেট দিয়ে উল্টোপথে আসা একটি মোটরসাইকেলকে গতিরোধ করলে সার্জেন্ট আলী হোসেনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান মোটরসাইকেল আরোহী সোহাগ উল ইসলাম রনি ও তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে লোকজন জড়ো হওয়ায় ওই এলাকার ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) বিপ্লব ভৌমিক কয়েকজন কনস্টেবল নিয়ে এসে তাদের সবাইকে মীমাংসার জন্য সড়কে থাকা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে নিয়ে যান। এ সময় মোবাইলে ইয়াসিন জাহান নিশান বিষয়টি তার ভাই ইয়াসির আরাফাতকে জানান। তিনি লোকজন নিয়ে এসে পুলিশ বক্সে প্রবেশ করেন। এরপর পুলিশ বক্স ভেঙে তারা বের হয়ে আসেন।
ট্রাফিক বক্সের গ্লাস দিয়ে সার্জেন্ট আলী হোসেনকে আঘাত করলে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা কেটে যায়। উত্তেজিত হামলাকারীরা পুলিশ ইউনিফর্মে থাকা সবার ওপরই হামলা করে। এ সময় শ্যামপুর থানার এসআই উৎপল চন্দ্র ও এসআই সাকিব সেখানে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়।
ওই ঘটনায় গত ৭ জুন সার্জেন্ট আলী হোসেন শ্যামপুর থানায় পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের কাজে বাধা, হত্যাচেষ্টা ও সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটির এজাহারভুক্ত তিন জনের নাম উল্লেখসহ ৩৫০/৪০০ অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এআই/একে