ঢাকা: রাজধানীর জুরাইনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার প্রসঙ্গে গ্রেফতার রফিকের স্ত্রী নূপুর বলেন, ‘আমার স্বামী ঘটনার সময় বাসায় ছিল। সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। এরপরও পুলিশ তাকে ধরে আনছে। মেয়ে ওর বাবার জন্য কান্নাকাটি করছে। বাবার কাছে যেতে চায়। ওকে আমি কেমনে সান্ত্বনা দেব। আমার নিরপরাধ স্বামীকে মুক্তি দিন।’
শুক্রবার (১০ জুন) রাজধানীর জুরাইনে ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন পুলিশ সদস্যকে মারধরের মামলায় ১৭ জনকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। তাদের স্বজনরা আদালতে হাজির হন। তাদের একজন রফিকের স্ত্রী নূপুর।
রফিকের বোন সীমা বলেন, ‘যারা অন্যায় করছে তাদের প্রাপ্য বিচার হোক। যে অন্যায় করেনি তাকে কেন ধরে আনছে। বিনা দোষে কেন তারা জেলে থাকবে?’
আরেক আসামি লিটনের স্ত্রী লিজা বলেন, ‘আমার স্বামীও লেগুনা চালায়। সে কোনো অপরাধ করেনি। তারপরও তাকে ধরে নিয়ে আসছে পুলিশ। ৬ মাসের বাচ্চাকে বাসায় রেখে এখন কোর্টে এসে দৌড়াচ্ছি। বাসায় দুই বাচ্চা কান্নাকাটি করছে।’
আহমেদের ভাই মোহাম্মদ বলেন, ‘পুলিশ সিসি ক্যামেরা দেখুক। যারা অপরাধী তাদের গ্রেফতার করুক। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত না তাদের কেন গ্রেফতার করছে?’
চার আসামির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সাত জনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে এবং আরও ছয়জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রিমান্ড যাওয়া আসামিরা হলেন আবুল কালাম আজাদ, তানজিল হোসাইন, আহাম্মদ হোসেন ও মোতালেব হোসেন।
আনিছুর রহমান, লিটন, রফিক, বাবুল খান, শহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু, রতন, সানি রহমান, রানা হাওলাদার, ইমরান হোসেন ভূঁইয়া, রুবেল মিয়া, মেহেদী হাসান পাপ্পু, মাহফুজুল হাসান মিন্টু, রাব্বিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত এ আদেশ দেন।