Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জনগণের ভোগান্তি দূর করতে প্রয়োজনে আদালতে যেতে চান আতিকুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১০ জুন ২০২২ ১৮:৫৯

ঢাকা: কাজীপাড়া-শেওড়াপাড়া এলাকার ৮০ মিটার ড্রেনের কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় বেড়েছে জলাবদ্ধতা। একইসঙ্গে তীব্র যানজটের কারণে নাগরিকদের দুর্ভোগও চরম পর্যায়ে। জনগণের এই ভোগান্তি দূর করতে দ্রুত সমাধানের জন্য প্রয়োজনে আদালতে যেতে যান ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

শুক্রবার (১০ জুন) সকালে কাজীপাড়া-শেওড়াপাড়া এলাকায় ওয়াসা থেকে প্রাপ্ত ড্রেনেজ অংশ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার স্থান সরেজমিনে পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এ সব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কাজীপাড়া-শেওড়াপাড়ার এই ড্রেনেজ অংশ ওয়াসা হতে ডিএনসিসির কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই সময়ই ওয়াসা কাজ সমাপ্ত না করেই তা বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ড্রেনের কাজ শুরু হয়। ডিএনসিসি কাজ শুরু করলে পূর্বে ওয়াসা থেকে প্রাপ্ত কাজটির ঠিকাদার মামলা দায়ের করলে মহামান্য আদালত সেখানে স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। এর ফলে ওই অংশে ডিএনসিসির ড্রেনের উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

পরিদর্শন শেষে মেয়র উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

মতবিনিময়কালে মেয়র বলেন, ‘আমি আজকে এখানে এসে দেখলাম পূর্বে যারা কাজ করে গেছেন তারা ড্রেনের ভিতরে তাদের ব্যবহৃত পাইপ, সেন্টারিং এর জিনিসপত্র, বালির বস্তা, কাঠসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ফেলে রেখে চলে গেছেন। এগুলোও তারা পরিষ্কার করেনি। এর ফলে ড্রেনগুলোতে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সম্মিলিতভাবে কাজ করে এই ড্রেনগুলো পরিষ্কার করছে।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের দূর্ভোগ দূর করতে আমি এখানে চার বার এসেছি। আমি এর আগেও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এবং ওয়াসার সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজীপাড়া-শেওড়াপাড়ার এই অংশের সমস্যা সমাধানে গুরুত্বসহকারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘এই এলাকাসহ ডিএনসিসির অন্যান্য এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা একটি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করেছি। যে কোনো স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে কুইক রেসপন্স টিম তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ সেখানে উপস্থিত হয়ে দ্রুত পানি অপসারণ করে জলাবদ্ধতা নিরসন করবে। ১৬১০৬ এই হটলাইন নম্বরে যেকোনো অপারেটর (গ্রামীণ ফোন ব্যতীত) থেকে ফোন করে জলাবদ্ধতার বিষয়ে তথ্য জানানো যাবে।’

কতদিনের মধ্যে এই ড্রেনের কাজ সম্পন্ন হবে সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, ‘আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ডিএনসিসি এখানে কাজের সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এরইমধ্যে পাইপ ও অন্যান্য সরঞ্জাম চলে এসেছে। অর্থের বরাদ্দও দেওয়া আছে। মহামান্য আদালতের স্থগিতাদেশ উঠে গেলে আমরা মাত্র চার (৪) দিনে এই কাজটুকু সম্পন্ন করতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘তালতলা থেকে মিরপুর ১০ পর্যন্ত পুরো সাড়ে চার কিলোমিটার ড্রেনের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে মাঝখানে কাজীপাড়ার শুধু এই অংশের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এই এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আমি আশা করি মহামান্য আদালত জনগণের দূর্ভোগ লাগবে দ্রুতই এটির একটি সুষ্ঠু সমাধান দেবেন।’

এসময় নগরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা এবং কুইক রেসপন্স টিম যখন জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন পরিষ্কার করছে সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ পলিথিন, প্লাস্টিক বর্জ্য ও অন্যান্য নানা ধরনের বর্জ্য পাচ্ছে। আমি নগরবাসীকে অনুরোধ করছি আপনারা এই ধরনের বর্জ্য ড্রেনে ফেলবেন না।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম মিরপুরের ৬০ফিট রোডে বারেক মোল্লার মোড় নামক স্থানে একটি সরু রাস্তা পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে সরু রাস্তাটি প্রশস্তকরণের উদ্দেশে রাস্তার পাশের জমির মালিকের সঙ্গে তার বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেন।

এ সময় তিনি জমির মালিককে অনুরোধ করেন নগরবাসীর চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তা প্রশস্তকরণে প্রয়োজনীয় জমি যেন ছেড়ে দেন এবং জমির মালিককে আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

এ সময় অন্যান্যদের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইসমাইল মোল্লা ও ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হুমায়ুন রশীদ (জনি), প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, এবং ডিএনসিসির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সারাবাংলা/এসবি/একে

মেয়র আতিকুল শ্যাওড়াপাড়া

বিজ্ঞাপন

খুলনায় যুবকের পেটে মিলল ইয়াবা
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর