Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জিয়াউর রহমান জনগণের হৃদয়ে’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১০ জুন ২০২২ ২২:১৭

ময়মনসিংহ: শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি কোনো দিন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো কটুবাক্য উচ্চারণ করেননি। আজ জিয়ার অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু জিয়াউর রহমান জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।’

শুক্রবার (১০ জুন) বিকেলে ময়মনসিংহে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর বিএনপি কার্যালয়ের পাশে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার আয়োজিত শহীদ জিয়ার কর্মময় জীবনভিত্তিক বই ও আলোকচিত্র-প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী এবং আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সভায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বড় দুঃসময়ে দেশের জন্য কাজ করেছেন শহীদ জিয়া এবং বেগম খালেদা জিয়া। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ যখন কেউ দেশের স্বাধীনতার চিন্তা করেননি তখন তিনি সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহ ঘোষণা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। বর্তমান সরকার কারো অবদানই স্বীকার করতে চায় না। জিয়াউর রহমান ছিলেন সর্বোত্তম ব্যক্তি। তাঁর খেতাব বীর উত্তম কেড়ে নিতে পারেন না। জিয়াউর রহমান জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। জনগণ তাঁকে ভালোবাসেন। যেদিকেই তাকাবেন সেদিকেই জিয়ার অবদান দেখতে পাবেন।’

কেন্দ্রীয় বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের সভাপতিত্বে নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. মুহাম্মদ ইব্রাহিম (বীরপ্রতীক) বলেন, ‘জিয়াউর রহমান একবার মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর তিনি দ্বিতীয়বার জাতীয় বীর হয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান সেদিন দেশ বাচাঁনোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন বলেই দেশটি বেঁচে যায়। তিনি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য আনসার ও ভিডিপি এবং পুলিশ বাহিনী গঠন করেছিলেন। সেনাবাহিনীর বিগ্রেড তিনি করেছিলেন। পদ্মা সেতু দেশের একমাত্র উন্নয়ন নয়। এটি নির্মাণে যত টাকা ব্যয় হয়েছে তার একটা বড় অংশ পাচার করা হয়েছে বলে মানুষের ধারণা। জিয়া কোনোদিন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো কটুবাক্য উচ্চারণ করেননি।’

সামনে ক্ষমতা আর পেছনে জেল-জুলুমের কথা উল্লেখ করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ইলিয়াস খান বলেন, ‘জিয়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের ভবনটিও তিনি করে দিয়েছেন। আজ জিয়ার অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত নিগৃহীত হচ্ছেন।’

এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, সাবেক ডিন অধ্যাপিকা তাজমেরী ইসলাম, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনসহ অনেকে।

ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলুসহ মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতা এবং অঙ্গ সংগঠনের হাজারও নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এমও

জনগণের হৃদয়ে জিয়াউর রহমান


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর