‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বহুমাত্রিক প্রভাব বাংলাদেশে পড়েছে’
১২ জুন ২০২২ ১৯:৩৫
ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত চলমান রয়েছে। এ যুদ্ধ পৃথিবীর সব দেশের উপর প্রভাব বিস্তর করছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নেই। বৈশ্বিক অর্থনীতির উপর এই যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব বহুমাত্রিক। বাংলাদশেও এর বহুমাত্রিক প্রভাব রয়েছে।
রোববার (১২ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে (বাজেট অধিবেশন) সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মোকাব্বির খান তার লিখিত বক্তব্যে মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাংলাদেশের উপর কী প্রভাব বিস্তার করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি কোন কোন ক্ষেত্রে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না।
এর জবাবে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্য, ভোজ্যতেল ও রাসয়নিক সার সরবরাহের ক্ষেত্রে রাশিয়া ও ইউক্রেনের ভূমিকা রয়েছে। লজিস্টিক ব্যবস্থায় সংকট এবং যুদ্ধের কারণে খাদ্যশস্য ও ভোজ্যতেলের বাজার পৃথিবীব্যাপী অস্থির হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে আমদানি করা গমের সিংহভাগ আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। এছাড়া বাংলাদেশ ইউক্রেন থেকে ভোজ্যতেলও আমদানি করে থাকে। কিন্তু যুদ্ধের কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্থ হওয়ায় গম ও ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। সেইসঙ্গে গম ও তেল দিয়ে তৈরি করা খাবারের
দামও বেড়েছে।’
তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে বিকল্প উৎস থেকে খাদ্যশস্য, ভোজ্যতেল ও রাসায়নিক সার আমদানির পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আমদানি খরচ অনেক বেড়েছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে, যা ভোক্তামূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিলাস দ্রব্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে কিছু বাস্তবিক ব্যবস্থা নিয়েছে। এছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান যৌক্তিক রাখতে সরকারি কর্মকর্তাদের সকল প্রকার এক্সপোজার ভিজিট/স্টাডি ট্যুর/ ওয়ার্কশপ/সেমিনারে বিদেশ গমন বন্ধ করা হয়েছে। ব্যাংকারদের ক্ষেত্রেও একই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও বিচক্ষণ নির্দেশনার ফলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাত বাংলাদেশে অনেকটাই কম পড়েছে বলে জানান ড. মোমেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম