ড. ইউনূসের মামলা ২ মাস স্থগিত
১৩ জুন ২০২২ ১৩:২০
ঢাকা: গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ দুই জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে করা মামলার কার্যক্রম বিচারিক আদালতে দুই মাসে স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
একইসঙ্গে, এই সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে করা মামলা বাতিলে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৩ জুন) আগের আদেশ সংশোধন করে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে, ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই আদেশে বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রমও স্থগিত করেন।
পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, মামলা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। পরে মামলার বিবাদীদের হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন: গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান। পরে এই তিন আসামিও পৃথকভাবে মামলার আবেদন করেন।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
পরে, ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। পরে ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারির পাশাপাশি মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপিল করে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একেএম