ঘূর্ণিঝড়ে উড়ে গিয়ে হাওরজলে লণ্ডভণ্ড শ্যামপুর মাদরাসা
১৩ জুন ২০২২ ১৬:৫৪
ঢাকা: দুই-তিন মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার গোপদিঘী ইউনিয়নের বহুল আলোচিত শ্যামপুর দারুল উলুম দাখিল মাদরাসারটি সহকারী মৌলভী মো. মুজিবুর রহমানের নতুন বগাদিয়া গ্রামের বসতভিটা থেকে উড়ে গিয়ে হাওরের জলরাশিতে দুমড়েমুচড়ে ও লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
রোববার (১২ জুন) সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ ধলাই ও বগাদিয়া গ্রামের কিয়দাংশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রচণ্ড আঘাতে বাঁশের কাঠামোর ওপর টিনের ছোট দুটি চালাঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেঞ্চ, বই ও আসবাবপত্র। হাওরের উত্তাল জলরাশিতে ভেসে যায় অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র।
এমনিতেই পাঠদান কার্যক্রমে শৈথিল্যতা তার ওপরে প্রাকৃতিক গজব মিলে অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের পরীক্ষা ও লেখাপড়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই চিন্তিত হয়ে পরেছেন। তাছাড়া দীর্ঘ বারো বছর স্থায়ী ঠাঁই ছাড়া মাদরাসা বলে ফাঁড়াও দূর হচ্ছে না বলে জানান তারা।
এলাকাবাসী আক্ষেপ করে জানায়, শ্যামপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মো. জজ মিয়ার (বর্তমানে মরহুম) দান করা এক একর জমিতে ২০০৫ সালে চালু হয় শ্যামপুর দারুল উলুম দাখিল মাদরাসাটি। ২০১০ সালে এমপিওভুক্ত হওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় নিয়ে সুপার মো. আমিনুল হকের সঙ্গে সভাপতি মো. জজ মিয়ার বিরোধের সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসী আরও জানায়, সেই বিরোধের সমাধান না করে বরং এটিকে অজুহাত বানিয়ে সুপার মো. আমিনুল হক ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে পূর্বপ্রস্তূতিতে মাদরাসার বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল ও টিনের ঘর রাতারাতি পাশের মো. নূরুল হক ভূঞার ধলাই-বগাদিয়া বাজারে সরিয়ে নিয়ে যায়।
বাজার থেকে দীর্ঘ ৯ বছর পর মুশুরিয়া মৌজার গভীর হাওরে মাটি ভরাট করে ঘর উঠালে ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয় মাদরাসাটি এবং পরবর্তীতে শ্যামপুর গ্রামের মূল চত্বরে না নিয়ে নতুন বগাদিয়া গ্রামে মাদরাসার সহকারী মৌলভী মো. মুজিবুর রহমানের বসতভিটায় গিয়ে উঠলে আবারও ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে।
সারাবাংলা/একে