পাচারকারীদের সুযোগ দেওয়া অনৈতিক: সানেম
১৩ জুন ২০২২ ২০:২৪
ঢাকা: ‘বিদেশে টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে তাদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এটি সরকারের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথম বিষয় তথা পাচার বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সেটি গুরুত্ব পায়নি। চুরি ঠেকানোর প্রয়োজন ছিল কিন্তু চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিভাবে এটি বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা নেই।’
সোমবার (১৩ জুন) রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনায় সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবীদ ড. সায়মা হক বিদিশা।
সেলিম রায়হান বলেন, ‘বাজেট উচ্চবিত্তমুখী। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বাজেটে তেমন কিছু নেই। বিশেষ করে ব্যক্তি পর্যায়ের যেসব ক্ষুদ্র ব্যবসা রয়েছে তাদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার দরকার ছিল, সেটি হয়নি। এ ছাড়া কর্মমুখী মানুষের জন্য বাজেটে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা নেই।’
তিনি বলেন, ‘করমুক্ত আয়সীমা অন্তত সাড়ে তিন লাখ টাকা করা উচিত ছিল। এটি করার সুযোগ এখনও রয়েছে। এ ছাড়া রেমিট্যান্সে প্রণোদনা প্রত্যাহার করা দরকার। সে ক্ষেত্রে প্রথম বছরে পুরোপুরি প্রত্যাহার না করে ১ শতাংশে নামিয়ে আনা যেতে পারে।’
মূল্যস্ফীতি তথা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ যথেষ্ট নয় জানিয়ে সেলিম রায়হান বলেন, ‘সরকারের যে ছোট ছোট পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ ছিল তারা সেটি নিতে ব্যর্থ হয়েছে। ভ্যাট ট্যাক্স কমানোসহ কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ বিষয়টিতে দৃষ্টি দিতে হবে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুযোগ কাজে লাগানোর এখনই সময়। এ সুযোগ খুব বেশিদিন থাকবে না। কিন্তু এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়।’
শিক্ষাখাতে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল উপকরণ বিনামূল্যে বিতরণ করা দরকার ছিল। এতে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ হলেও দীর্ঘ মেয়াদে সুফল পাওয়া যেত। বাজেটে এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এছাড়া যেসব শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে ছোট ছোট প্রোগ্রামের মাধ্যমে তাদের আবার ফিরে আনার উদ্যোগ নিতে হবে।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও