বাঁকখালী নদী রক্ষা: ১৫ সরকারি কর্মকর্তা-জনপ্রতিনিধিকে নোটিশ
১৩ জুন ২০২২ ২২:৩১
কক্সবাজার: ৫ সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ ১৫ সরকারি কর্মকর্তা ও এক জনপ্রতিনিধিকে আদালত অবমাননার নোটিশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা)। বাঁকখালী নদী রক্ষায় হাইকোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকার পরও প্যারাবন কেটে নদী দখল, কক্সবাজার পৌরসভার সমস্ত আবর্জনা নদীতে ফেলে দূষণ অব্যাহত রাখা এবং পূর্বের দখলদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশ প্রতিপালন করে বাঁকখালী নদীতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করে আদালতের সকল আদেশ প্রতিপালন করে নদীটিকে দখল ও দূষণমুক্ত করতে এবং নদী ও নদী সংলগ্ন প্যারাবনে নির্মিত ও নির্মিতব্য সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে কক্সবাজার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বদর মোকাম এলাকার কস্তুরাঘাট নামক স্থানে এ নদীতে বিদ্যমান প্যারাবন সংরক্ষণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
ইতোমধ্যে উল্লেখিত প্যারাবনের যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা নিরুপণ করে প্রকৃত দোষীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় ও প্যারাবনকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্যারাবন উপযোগী বৃক্ষের দ্বারা বনায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপ আগামী ১৬ জুন সকাল ১০টার মধ্যে বেলার আইনজীবীকে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়। না হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ অবমাননার অভিযোগে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস হাসানুল বান্না ডাকযোগে ১৪ সরকারি কর্মকর্তা ও এক জনপ্রতিনিধির কাছে এ চিঠি পাঠিয়েছেন।
যাদের নামে নোটিশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়, পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মুফিদুল আলম ও কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক শেখ মো. নাজমুল হুদা, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জিল্লুর রহমান।
সারাবাংলা/এমও