জুরাইনে পুলিশের ওপর হামলা: আইনজীবী ইয়াসিনের জামিন
১৪ জুন ২০২২ ১৪:০৭
ঢাকা: জুরাইনে ট্রাফিক সার্জেন্টসহ তিন পুলিশ সদস্যকে মারধর ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইয়াসিন আরাফাত ভুঁইয়া নামে এক আইনজীবীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেখা করার শর্তে এই জামিনের আদেশ দেন।
আসামি পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী নজিবউল্যাহ হিরু, আসাদুজ্জামান রচি, মাহবুব আলমসহ প্রমুখ জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
গত ৮ জুন মামলাটিরর তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। ওইদিন নিশান নামে এক নারী আইনজীবীর জামিন মঞ্জুর করেন। তবে একই মামলায় শ্যালক-দুলাভাইসহ ৫ জনের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুন জুরাইন রেলগেট দিয়ে উল্টোপথে আসা একটি মোটরসাইকেলকে গতিরোধ করলে সার্জেন্ট আলী হোসেনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান মোটরসাইকেল আরোহী সোহাগ উল ইসলাম রনি ও তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশান। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে লোকজন জড়ো হওয়ায় ওই এলাকার ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) বিপ্লব ভৌমিক কয়েকজন কনস্টেবল নিয়ে এসে তাদের সবাইকে মীমাংসার জন্য সড়কে থাকা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে নিয়ে যান।
এ সময় মোবাইলে ইয়াসিন জাহান নিশান বিষয়টি তার ভাই ইয়াসির আরাফাতকে জানান। তিনি লোকজন নিয়ে এসে পুলিশ বক্সে প্রবেশ করেন। এরপর পুলিশ বক্স ভেঙে তারা বের হয়ে আসেন। ট্রাফিক বক্সের গ্লাস দিয়ে সার্জেন্ট আলী হোসেনকে আঘাত করলে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা কেটে যায়। উত্তেজিত হামলাকারীরা পুলিশ ইউনিফর্মে থাকা সবার ওপরই হামলা করে। এ সময় শ্যামপুর থানার এসআই উৎপল চন্দ্র ও এসআই সাকিব সেখানে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়।
ওই ঘটনায় গত ৭ জুন সার্জেন্ট আলী হোসেন শ্যামপুর থানায় পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের কাজে বাধা, হত্যাচেষ্টা ও সরকারি স্থাপনা ভাংচুরের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটির এজাহারভুক্ত তিন জনের নাম উল্লেখসহ ৩৫০/৪০০ অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এআই/পিটিএম