প্রযুক্তি পণ্যের ভ্যাট ও কর প্রত্যাহারের দাবি ৫ সংগঠনের
১৪ জুন ২০২২ ১৮:২৪
ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট ল্যাপটপ, প্রিন্টার ও ইন্টারনেটের ওপর ভ্যাট ও কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৫টি সংগঠন। তাদের দাবি, প্রস্তাবিত বাজেট পাশ হলে ল্যাপটপের মূল্য ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং প্রিন্টার, টোনার ও কার্টিজে ১৫ শতাংশ ও ইন্টারনেটের মূল্য ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। যা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্তরায়। তাই প্রযুক্তিপণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার করে ২০৩০ পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়ার দাবি জানায়।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনগুলোর পক্ষে এসব দাবি জানানো হয়। সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি(বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।
বিসিএস সভাপতি প্রকৌশলী সুব্রত সরকার বলেন, ল্যাপটপ কোনো বিলাসী পণ্য নয়, এটি প্রয়োজন। বাংলাদেশে ল্যাপটপ উৎপাদনের প্রযুক্তি কারখানাও এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। মাত্র ১টি বা ২টি কোম্পানি স্বল্প পরিসরে উৎপাদন শুরু করলেও চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। কেবল মাত্র বাইরে থেকে আনা কম্পোনেন্টস এখানে সংযোজন হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহ দিতে আমদানিতে বাড়তি ট্যাক্স বসালে তা আসলে স্থানীয় উৎপাদনের সহায়তার চাইতে ব্যবহারকারীদের জন্য বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়াবে।
ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, উদ্দ্যোক্তাদের সেবা প্রদানের জন্য ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মূল্যবৃদ্ধি করা হলে তাদের বায় বেড়ে যাবে। বর্তমানে দেশে ই-কমার্স খাত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সময়ে যদি এসব পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ইন্টারনেটের ওপর ১০ শতাংশ কর আরোপ করা হয় তবে উদ্যোক্তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন না।
বাক্কোর সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, ল্যাপটপ ও প্রিন্টারের ওপর প্রস্তাবিত কর ও শুল্ক বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) খাতকেও প্রভাবিত করবে। ভ্যাট আরোপ হওয়ার ফলে খরচ বৃদ্ধি পাবে। এতে অনেক প্রতিষ্ঠান আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতে চাইবে না। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সারদের জন্যও ল্যাপটপ কেনা কঠিন হয়ে যাবে।
বেসিস সহ-সভাপতি আবু দাউদ খান বলেন, স্থানীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন ক্ষমতা, চাহিদা পূরণে সক্ষম না হওয়া পর্যন্ত ল্যাপটপ আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক সাধারণ ব্যবহারকারীদের ল্যাপটপ চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিসিএস’র সহ-সভাপতি মো. রাশেদ আলী ভূঁইয়া, মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এবং মুহাম্মদ মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনএস