আদালতে ডা. সাবরিনার খালাস দাবি
১৪ জুন ২০২২ ১৮:২৭
ঢাকা: জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা ও জাল সনদ দেওয়ার অভিযোগে মামলায় খালাসের দাবি জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে ডা. সাবরিনার পক্ষে আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এই দাবি জানান।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় তিনি আদালতকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ কোনো ধারায় প্রমাণ করতে পারেননি। রাষ্ট্রপক্ষে থেকে নেওয়া সাক্ষীর জবানবন্দি, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি, তদন্ত কর্মকর্তা দাখিলকৃত রিপোর্ট কোনটাই সাবরিনার বিরুদ্ধে যাচ্ছে না বলে দাবি করেন তার আইনজীবী। এছাড়াও মামলাটি দায়ের করা হয়েছে হয়রানি করার জন্য। আসামি সাবরিনা সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ। এজন্য ডা. সাবরিনার খালাসের দাবি জানাচ্ছি।
৮ জুন আসামি আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে অ্যাডভোকেট ফারুক আহাম্মদ যুক্তিতর্ক শেষ করেন। তবে এদিন অন্যান্য আসামিদের যুক্তি শেষ না হওয়ায় আগামী ২০ জুন অবশিষ্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ ধার্য করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এ তথ্য জানান।
১১ মে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। গত ২০ এপ্রিল মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস। বর্তমানে সকলেই কারাগারে রয়েছেন।
মামলার তদন্ত শেষে গত ৫ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী এই চার্জশিট জমা দেন।
চার্জশিটে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট জব্দের কথা বলা হয়েছে।
গত বছর ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
সারাবাংলা/এআই/একেএম