‘বৃষ্টি হলেই ঝুঁকি বাড়বে টেবিল ঘড়ির, ছুটতে পারে নৌকা ও ঘোড়া’
১৫ জুন ২০২২ ০৯:১০
কুমিল্লা থেকে: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (১৫ জুন) সকাল আটটায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে টানা বিকেল চারটা পর্যন্ত।
ভোট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার ভোটের দিনে প্রকৃতি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে। কারণ কুমিল্লা নগরীর অন্যতম প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। দুই মেয়াদে মেয়র পদে থাকলেও এই সমস্যা সমাধান না হওয়ায় বৃষ্টি হলেই পান জমে যায় শহরের বিভিন্ন এলাকায়। আজ বৃষ্টি হলে ভোট দিতে যাওয়ার পথে বিপত্তির সম্মুখীন হবেন ভোটাররা। এমন অবস্থায় মানুষ টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। আর এই সুযোগে এগিয়ে যেতে পারে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। একই সুবিধা পেয়ে নির্বাচনে এগিয়ে যেতে পারে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করা নিজাম উদ্দিন কায়সার।
তবে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খুব বেশি মাত্রায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বুধবার (১৫ জুন)।
কুমিল্লার ২৭টি ওয়ার্ডের মাঝে প্রায় সব এলাকাতেই এখন বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগ পোহাতে হয় নাগরিকদের। এর মাঝে নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরে একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। অপরিকল্পিত নগরায়ণের পাশাপাশি জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য দৃশ্যমান কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার কারণে এমন অবস্থা বলেই জানান তারা।
কুসিকের নির্বাচনেও তাই পড়েছে জলাবদ্ধতার প্রভাব। বিশেষ করে শহরে পানি নিষ্কাশনের মূল পথ সদর দক্ষিণের কান্দিখাল ও ডাকাতিয়া নদীর শাখার ওপর বাসস্থান গড়ে ওঠা ছাড়াও খাল ভরাটা করে গড়ে উঠেছে অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানও।
জলাবদ্ধতা নিরসনে কোনো কাজ করা হয়নি জানিয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বলেন, সাক্কু কুমিল্লার মানুষকে পানির নিচে রেখে বরাদ্দের টাকা লোপাট করেছেন। আর তাই প্রথম থেকেই সাক্কুকে ব্যর্থ ও দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করছিলাম।
তিনি বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতার জন্য সাবেক মেয়র দায়ী। মানুষ পরিবর্তন চায়। তারা জানে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার মানেই উন্নয়নের নিশ্চয়তা। সাবেক মেয়র কী করেছেন, তাও সবাই দেখেছে। তার উন্নয়নের ধাক্কায় শহরে এখন নৌকা চলছে।
তিনি বলেন, কুমিল্লার মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা ও যানজট। আমি নির্বাচিত হলে এক বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতা ও যানজটের সমস্যার সমাধান করব। আমি ১১ দফার একটি লিফলেট মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দিয়েছি। নির্বাচিত হলে সেগুলোর বাস্তবায়ন করব। এটাই আমার প্রতিশ্রুতি।
এদিকে জলাবদ্ধতা নিয়ে বেশ সোচ্চার আরেক স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সারও। ঘোড়া প্রতীকের এই প্রার্থী বলেন, জলাবদ্ধতা কাটাতে আমার সুষ্ঠু পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ নির্বাচনের সময় সাক্কুর নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধান জায়গা নিয়েছিল জলাবদ্ধতা নিরসন ও যানজটমুক্ত শহর। কিন্তু সাক্কু কিছু করতে পারেননি। আগের দুই মেয়াদেই সাক্কু ব্যর্থ হয়েছেন।
তবে মনিরুল হক সাক্কু নিজেকে ব্যর্থ মানতে নারাজ। নগর ভবনের কাজে কোনো দুর্নীতি হয় নি বলেও দাবি করেন তিনি।
তার দাবি, তিনি জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে অনেক কাজ করেছেন। এবার নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতামুক্ত শহর গড়বেন।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসনে আমার চেষ্টা ছিল সাধ্যমতো। আমার গত মেয়াদের শেষ সময়ে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুমিল্লা সিটির উন্নয়নে অনেক টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার এই কাজগুলো আগামী দুই থেকে তিন বছরে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হবে। এজন্য চাই কাজগুলোও নিজের হাতে করতে। এ কাজগুলো বাস্তবায়িত হলে কুমিল্লার চেহারা বদলে যাবে। জলাবদ্ধতা ও যানজট থেকে মুক্তি পাবে কুমিল্লা শহরের মানুষ।
জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ হিসেবে কুমিল্লা-নোয়াখালী চার লেন মহাসড়কের সম্প্রসারণ কাজের জন্য কান্দিখাল ভরাট করাকে দায়ী করেন সাক্কু।
তিনি বলেন, অতিবৃষ্টি, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ফোরলেনের কাজের কারণে নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর কোন দেশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় না জলাবদ্ধতার কারণে তিন দিন লন্ডন শহর পানির নিচে ছিল! সেখানে তো কেউ কিছু বলে নাও।
স্থানীয় ইতিহাসবিদ ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক আহসানুল কবীর সারাবাংলাকে বলেন, প্রাচীন শহর হিসেবে কুমিল্লায় সমস্যার শেষ নেই। এক অন্তঃহীন সমস্যার শহর কুমিল্লা। ১৯৯৮ সালে যখন সারাদেশে বন্যা দেখা দেয় সেবারও কুমিল্লায় কিন্তু তেমন প্রভাব পড়ে নি। কিন্তু এর পরে আসলে আর কিছু বলার নেই। শুধুমাত্র ২০২১ সালে কয়েক দফা জলাবদ্ধতার ঘটনা কিন্তু সবার মাঝেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে। আর তাই এবার জলাবদ্ধতা বিশাল প্রভাব ফেলবে নির্বাচনে।
তিনি বলেন, যদি নির্বাচনের দিন বৃষ্টি হয় তবে কিছুটা প্রভাব তো পড়তেই পাড়ে ভোটে। কারণ প্রথমত যারা ভোট দিতে যাবেন তাদের দুর্ভোগ বাড়বে। একইসঙ্গে বৃষ্টির পানি জমে গেলে অনেকেই ভোট দিতে যেতে পারবে না। সেক্ষেত্রে টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর ভোট কমতে পাড়ে। এক্ষেত্রে নৌকা মার্কার প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার এগিয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু হবে না।
কী করেছে সিটি করপোরেশন?
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ২৭টি ওয়ার্ডে ৪২২টি নালা পরিষ্কার ও ১০টি ভরাটকৃত খাল খননের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানানো হলেও এর কোনো ফলাফল পাওয়া যায় নি বলেও অভিযোগ ভোটারদের।
সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনায় পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি তালিকা করা হয়। এই তালিকায় জলাবদ্ধতার বেশি সমস্যা আছে এমন এলাকাগুলোকে নির্বাচিত করা হয়। এতে দেখা যায় প্রায় পুরো নগরীর অধিকাংশ স্থানেই জলাবদ্ধতার সমস্যা আছে।
যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা
কুসিকের ১নং ওয়ার্ড বিষ্ণুপুর মধ্যপাড়া মসজিদ সড়ক, মুন্সেফ কোয়ার্টার পেশকার বাড়ি সড়ক, ২ নম্বর ওয়ার্ড ছোটরা পশ্চিমপাড়া, ৩ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম কালিয়াজুরী, রেসকোর্স, কবরস্থান ফটক, ইলিয়াস খাঁন মসজিদ সড়ক, কালিয়াজুরী চিড়িয়াখানা সড়ক, কাঠেরপুল, উত্তর রেইসকোর্স, নোয়াব মিয়া সড়ক, পাসপোর্ট অফিসের গলি, তরব আলি দরগা সড়ক, কালিয়াজুরী পিটিআই এর আশে পাশের এলাকা, কালিয়াজুরি প্রাইমারি স্কুল থেকে মুড়াপাড়া রেলগেট পর্যন্ত। ৪ নম্বর ওয়ার্ড আমানিয়া বাড়ি হয়ে ভাটার পুকুর বাঁশ মুড়া পর্যন্ত, বিষ্ণুপুর চৌমুহনী কবরস্থান সড়ক, কাপ্তান বাজার, আমানিয়া বাড়ি থেকে ভাটার পুকুরপাড়, আদালতের উত্তর দিকের সড়ক, মগবাড়ি সড়ক, বিষ্ণুপুর পানির ট্যাংকিসংলগ্ন কবরস্থান রোড, জজকোর্ট হয়ে মগবাড়ি চৌমুহনী পর্যন্ত। ৭ নম্বর ওয়ার্ড খানবাড়ি মসজিদের উত্তর পাশ দিয়ে অশোকতলা রেলগেট যাওয়ার পথ। গোবিন্দপুর খলিফা বাড়ি সড়ক, খানকা শরীফ সড়ক, ডিসি গলি সড়ক, উত্তর পাড়া, অশোকতলা প্রফেসর পাড়া, মদিনা মসজিদ সড়ক, রামকৃষ্ণ আশ্রমের দক্ষিণে, ফজল খান ছাত্রাবাস সড়ক এর শেষ অংশে ৮ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ ঠাকুরপাড়া রেসিডেনসিয়াল স্কুল সড়ক, ঠাকুরপাড়া বৌদ্ধ বিহারসংলগ্ন, শিক্ষাবোর্ডের পিছনে ও টাওয়ারের গলি, কামিনী চন্দ সারণি, কালীতলা, মদিনা মসজিদ সড়ক, ঠাকুর পাড়া বাগান বাড়ি এলাকা। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন চৌধুরীপাড়া কবরস্থান থেকে শুরু করে স্টেশন সড়ক পর্যন্ত, দক্ষিণ বাগিচাগাঁও স্বর্ণকুটিরের পাশের গলি।
এছাড়াও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সদর হাসপাতাল সড়ক, তাছাড়া কান্দিরপাড় টাউন হলের বিপরীতে কান্দি খালের ওপর কালভার্ট নিচু হওয়ার কারণে কান্দিপাড় মসজিদের পেছনের ড্রেন হয়ে পানি যেতে দেরি হয়। সেখান থেকে সদর হাসপাতাল সড়ক পর্যন্ত দখল কান্দিখাল। ভিক্টোরিয়া কলেজ সড়ক উজির দিঘীর পাড় বড় নালা দখলে সরু। মনোহরপুর রূপালী ব্যাংক থেকে সোনালী ব্যাংকের গেট পর্যন্ত। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দিগম্বরী তলা মসজিদের সড়ক, চকবাজার বাসস্ট্যান্ডের পেছনের অংশ, থিরাপুকুর পাড় স্কুলের পেছনের অংশ। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রহমান খন্দকার সড়ক, দক্ষিণ চর্থা রিকশা গ্যারেজ থেকে সর্দার বাড়ি সড়ক, দক্ষিণ চর্থা পশ্চিম পাড়া, মহিলা কলেজ সংলগ্ন খাল, হালুয়াপাড়া সড়ক, কাশেমুল উলুম মাদ্রাসা গলি। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বিতীয় মুরাদপুর হইতে হাউজিং এস্টেট পর্যন্ত প্রধান তিন জায়গায় জলাবদ্ধতা বেশি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয় মুরাদপুর বড় চৌমুহনী হইতে অহিদউল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত, মুরাদপুর ভূঁইয়া পুকুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা, মুরাদপুর নমঃশূদ্র পাড়া এলাকায় জলাবদ্ধতার সমস্যা আছে।
এছাড়াও উত্তর চর্থা হোচ্ছামিয়া হাইস্কুলের পেছনের এলাকায়। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বজ্রপুর প্রাইমারি স্কুল থেকে মুরাদপুর চৌমুহনী পর্যন্ত, বজ্রপুর সার্কুলার সড়ক, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরাইশ পূর্বপাড়া, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড পাথুরিয়াপাড়া সেম্বা পুকুরপাড়, ডিবি গলির শেষাংশ, নুরপুর মাতৃসদন ক্লিনিক সংলগ্ন এলাকা। ১৮নম্বর ওয়ার্ডের হাউজিং এস্টেট, কাটাবিল, হযরত পাড়া । ১৯ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর রসুলপুর, ডুলিপাড়া, পূর্ব পাড়া, রাজা পাড়া মুন্সীবাড়ির সামনের সড়ক। ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড উনাইশার হিন্দুপাড়া, লক্ষ্মী নগর চৌমুনী থেকে দিশা বন্ধের দিকে যাওয়া সড়ক। ২১ নম্বর ওয়ার্ড শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজের বিপরীত গলির সড়ক, মোল্লা বাড়ির সড়ক শাকতলা উত্তর পূর্ব পাড়া, মধ্যম আশ্রাফপুর কাজির হেঙ্গার এলাকা। ২৩ নম্বর ওয়ার্ড মনিপুর দক্ষিণ পাড়া, চাঙ্গিনী দক্ষিণ মোড়। ২৪ নম্বর ওয়ার্ড গন্ধমতি-কোটবাড়ী সড়ক এলাকায় জলাবদ্ধতার সমস্যা আছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটাররা।
এ ছাড়াও নগরীর চকবাজার থেকে রাজগঞ্জ সড়ক, কান্দিরপাড় মোড় থেকে নজরুল অ্যাভিনিউ সড়কের কর ভবন পর্যন্ত, স্টেডিয়ামের সামনের সড়ক, কান্দিরপাড় সালাউদ্দিন থেকে টমছমব্রিজ পর্যন্ত, ধর্মপুর কলেজ সড়কসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রায় ১০০ স্থানে জলাবদ্ধতার সমস্যা আছে বলে জানিয়েছে ভোটাররা।
নগরীর পুলিশ লাইন এলাকার ভোটার রাইসুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, এভাবে এলাকার নাম বলে বা লিখে আলাদা সময় নষ্ট করার কোনো মানে নাই। সোজা ভাষায় বলতে পারেন পুরো কুমিল্লাতেই এই সমস্যা। এর জন্য দায়ী গত ১০ বছরে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া। ‘আমার ভোট আমি দেবো, যোগ্য প্রার্থী দেখে, শুনে ও বুঝে দেবো’- এমনটা তো আসলে বলা লাগে না। যিনি সমস্যা সমাধান করতে পারে নাই তিনি ব্যর্থ। নির্বাচনের দিন বৃষ্টি এলে এর প্রভাব তো পড়বেই। এই শহরের এখন এমন অবস্থা যে বেশি বৃষ্টি হলে নৌকা নিয়ে সড়কে বের হতে হবে পানির উপরে।
উল্লেখ্য, এবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে। এই সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৭ হাজার ৯২, পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের এটি তৃতীয় নির্বাচন। এর আগে দুই নির্বাচনেই মেয়র পদে ভোটে নির্বাচিত হন মনিরুল হক সাক্কু। প্রথমবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং দ্বিতীয়বার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
সারাবাংলা/এসবি/এএম