টিসিবিতে বিক্রির জন্য ২৮১ কোটি টাকার ডাল-চিনি আমদানির সিদ্ধান্ত
১৫ জুন ২০২২ ২০:০৭
ঢাকা: আগামী ইদুল আজহা উপলক্ষে এক কোটি পরিবারে কাছে ভর্তুকি দামে টিসিবির চারটি পণ্য বিক্রির জন্য জন্য ডাল ও চিনি আমদানি করতে যাচ্ছে সরকার। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন মশুর ডাল এবং ১৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি করবে সরকার। এ জন্য সরকারের ব্যয় হচ্ছে ২৮১ কোটি টাকা।
বুধবার (১৫ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিকগুলো তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘টিসিবি’র মাধ্যমে ভর্তুকি দামে বিক্রির জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ দু’টি দরদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতি কেজি নেট প্যাকেট ৮৪ দশমিক ৬৯ টাকা এবং ৫০ কেজি’র নেট ব্যাগ প্রতি কেজি ৮১ দশমিক ৬৩ টাকা হিসেবে ১৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি ক্রয় করা হচ্ছে। এতে সরকারের ব্যয় হবে ১২৩ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমিটেড এবং সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এই চিনি সরবরাহ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টিসিবি’র মাধ্যমে ইদুল-আযহা উপলক্ষে এক কোটি পরিবারে কাছে ভর্তুকি দামে বিক্রির জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ১৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন মশুর ডাল ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ ৬টি দরদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতি কেজি ১১৭ দশমিক ৫০ টাকা হিসেবে ১৩ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন মশুর ডাল কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৫৮ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মশুর ডাল কেনা হবে সেগুলো হলো- এসিআই পিউর ফ্লাউয়ার লিমিটেড, সেনা কল্যাণ সংস্থা, এনএস কন্সট্রাকশন, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড, নাবিল নব ফুডস লিমিটেড এবং ইজি সার্ভিসেস লিমিটেড।
সভায় জানানো হয়, এদিনের সভায় মোট ২ হাজার ৮৭ কোটি ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৭৯ টাকা ব্যয়ে ১২ ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম