বিদ্যুৎ-জ্বালানির উদ্যোগে সহযোগিতা করতে চায় জাইকা
১৫ জুন ২০২২ ২১:১৫
ঢাকা: জলবায়ুর পরিবর্তন সাপেক্ষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মসৃণ রূপান্তর, মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কাযর্ক্রম এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি- এই তিন খাতে জাইকা আরও অবদান রাখার আগ্রহ দেখিয়েছে। পাশাপাশি জাপানের কয়েকটি বেসরকারি কোম্পানিও বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বুধবার (১৫ জুন) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কোইচেরো নাকাজায়া সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা এ সব বিষয়ে আলোচনা।
জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে কাজ করতে পারার জন্য উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘অবকাঠামো নির্মাণে জাইকা আরও অবদান রাখতে পারে। ২০৪১ সালের লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সাথে শিল্পের বৈচিত্রময়তা বাড়ানো প্রয়োজন। মধ্যম আয়ের দেশের জন্য নগরায়ন একটি চ্যালেঞ্জ। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যাওয়াও বেশ কঠিন।’
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বাংলাদেশে জাইকার অবদান স্মরণ করে বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের পরিক্ষিত বন্ধু। ২০৪১ সালের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে জাপানোর আরও সহযোগিতা চাই। সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়টি থাকতে পারে। জ্বালানির রূপান্তর প্রক্রিয়ায় যথাযথ প্রযুক্তির সন্নিবেশ করা যেতে পারেলে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পাওয়া যাবে। সাশ্রয়ী মূল্য নির্ধারণ এবং নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেল সরবরাহের চ্যালেঞ্জের সমাধানে এই মহাপরিকল্পনার থাকা উচিত।’ প্রতিমন্ত্রী এ সময় সক্ষমতা বৃদ্ধির আওতায় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেন।
এ সময় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন ও বাংলাদেশের জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইউহো হয়োকায়া উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম