রফতানিমুখী শিল্পে উৎসে কর দশমিক ৫ শতাংশ বহাল রাখার দাবি ইএবি’র
১৬ জুন ২০২২ ২০:১০
ঢাকা: রফতানিমুখী সব শিল্পের উৎসে কর দশমিক ৫ শতাংশ আগামী ৫ বছর পর্যন্ত বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে এক্সপোর্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সংগঠনটির সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী এ দাবি জানান। প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রতিক্রিয়া গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংগঠনটির দাবিগুলো হলো- রফতানিমুখী সকল শিল্পের উৎসে কর দশমিক ৫ শতাংশ আগামী ৫ বছর পর্যন্ত অব্যাহত রাখা। পরিবেশবান্ধব কারখানার অন্যতম উপাদান সোলার প্যানেল আমদানিতে বাজেটে প্রস্তাবিত শুল্কহার ১ শতাংশ না বাড়িয়ে পূর্বের ন্যায় শুন্য শতাংশ করা। ব্যাংক সুদের উৎসে কর হার কোম্পানি করদাতার জন্য বাজেটে প্রস্তাবিত ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা র্পূবরে ন্যায় ১০ শতাংশ রাখতে হবে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ভ্যাট খেলাপি হলে প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে মূসক কর্মকর্তাগণ কর্তৃক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করার বিধান আইনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যা বাস্তবায়িত হলে শিল্পে শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়বে। ধারাবাহিক তিন বছর বা ততধিক সময়ব্যাপী কোনো কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ থাকলে পরিচালকদের কাছে থেকে বকেয়া অবিতর্কিত কর আদায়ের বিধান রাখা এবং সরকারের অবিতর্কিত রাজস্ব দাবি পরিশোধে ব্যর্থ হলে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ অন্যান্য সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিধান প্রবর্তন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
রফতানিমুখী শিল্পের রফতানির বিপরীতে প্রদত্ত নগদ সহায়তার উপরে আয়কর কর্তনের হার শূন্য শতাংশ নির্ধারণ করা। প্রয়োজন অনুযায়ী রিপ্লেইসমেন্ট’র জন্য অগ্নি-নির্বাপন উপকরণ রেয়াতি হারে আমদানির অনুমোদন। এছাড়া মাংস প্রক্রিয়াজাত এবং রফতানি প্রসারের জন্য সংগঠনটির সুপারিশগুলো হল- মাংস রফতানিতে ফ্রিজার ভ্যান এবং চিলার ভ্যান অপরিহার্য বিধায় এগুলোকে আমদানির ক্ষেত্রে মূলধনী পণ্য হিসাবে বিবেচনায় নিয়ে শুল্ক অব্যাহতি দিয়ে মাংস রফতানিতে বিশ্ববাজারে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা। সসেজ, পেপারনি, সালামি ইত্যাদি একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত যেখানে উপকরন হিসাবে বিভিন্ন ধরনের মসলা এবং প্যাকেজিং পণ্য আমদানি নির্ভর বিধায় উপরোক্ত উপকরন আমদানিতে শুল্ক সুবিধা প্রদানের অনুরোধও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম