ফোন আসা নিয়ে অভিযোগ অহেতুক: রিটার্নিং কর্মকর্তা
১৭ জুন ২০২২ ০৮:২২
কুমিল্লা থেকে: কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার শেষভাগে ফোন আসার কারণে ফলাফল পালটে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর ভাই কাইমুল হক রিঙ্কু। তবে এই অভিযোগকে অহেতুক বলে মন্তব্য করেছেন কুসিক রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী। একইসঙ্গে ফলাফল ঘোষণার জন্য কোনো চাপও ছিল না বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন শাহেদুন্নবী চৌধুরী।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ফলাফলে হার দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাবেক মেয়র ও টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।
বুধবার (১৫ জুন) ফলাফল ঘোষণা শেষে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমাকে পরিকল্পিতভাবে হারানো হয়েছে। বিজয়ী প্রার্থী জোর করে জিতেছেন। আমার হিসাবে ৯৮০ ভোটে এগিয়ে ছিলাম। শেষ মুহূর্তে ফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে। ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারানো হয়েছে। ভোট পুনরায় গণনার জন্য আমি আদালতে রিট করবো, আইনি ব্যবস্থা নেবো।
তবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী এই দাবি অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, পরাজিত প্রার্থী চাইলে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। তবে নতুন করে ফলাফল দেওয়া সম্ভব নয়। ফল ঘোষণার সময় তারা কেন অভিযোগ জানাননি। কারণ তাদের হাতে তো রেজাল্ট শিট ছিল। ইচ্ছে করে কাউকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে কথাটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা। চার কেন্দ্রের ফলাফল শিটে সকল পোলিং এজেন্টদের সাইন করা ছিল। সকল কেন্দ্রের ফলাফল একসঙ্গে করে তা সকল মিডিয়াকর্মী ও প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের সামনেই ঘোষণা করা হয়েছে।
ফলাফল ঘোষণার সময় ফোন আসার বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ওই সময়ের পরিস্থিতি (হট্টগোলের সময়) বিবেচনা করে আমাকে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করতে হয়েছে। সেখানে যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, আমি তা সিইসিকে (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) জানাচ্ছিলাম। এছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জেলা প্রশাসককে (ডিসি) কল করে জানাতে হয়েছে। আমার সেসময় অন্য কোনো কল আসেনি।
তিনি বলেন, আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, ভোটাররা দিনভর তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। ভোটাররা যেভাবে ভোট দিয়েছেন, সেভাবে ফলাফল নির্ধারিত হয়েছে।
তিনি আবারও বলেন, ফলাফল পেছানোর অন্য কোনো কারণ ছিল না। পরিস্থিতি প্রতিকূলে ছিল বিধায় সময় লেগেছে। দুই পক্ষই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। ও দুই পক্ষের গোলযোগে এমনটা হয়েছে। এসব কারণে চারটি কেন্দ্রের ফল আসতে দেরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার (১৫ জুন) কুসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ৩৪৩ ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুকে পরাজিত করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশের মানুষদের মাঝে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে চলছে নানারকম আলোচনা ও সমালোচনা।
সারাবাংলা/এসবি/এএম