Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সব বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র বন্ধ, সিলেট-সুনামগঞ্জ ‘শাট ডাউন’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৮ জুন ২০২২ ১২:৫০

সিলেট: পানি ঢোকায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের সব কয়টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে দুই জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ফলে ওই দুই জেলা শতভাগ শাট ডাউন হয়ে গেছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদের ‘পানি উঠে যাওয়ায় আপাতত উপকেন্দ্রগুলো বন্ধ করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি পানি সেচে দ্রততম সময়ের মধ্যে এটি আবার চালু করতে।’

উজানের ঢলে আচমকা ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত সুনামগঞ্জ ও সিলেট। দুই জেলার বেশিরভাগ এলাকা এখন হাঁটু থেকে গলা পানির নিচে। জানা যাচ্ছে, ভারতের সবচেয়ে বৃষ্টিপ্রবণ দুই শহর চেরাপুঞ্জি আর মৌসিনরামে গত ক’দিন ধরেই মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণেই দেশের উজানের দুই জেলায় আচমকা এই দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। আর ভারতের গণমাধ্যমগুলোর খবর বলছে, এর মধ্যে চেরাপুঞ্জিতে গত ২৭ বছর আর মনিরামে গত ২৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ডও হয়েছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলছে, মূলত ভারতের চেরাপুঞ্জি ও মৌসিনরামের এমন রেকর্ড ছাড়ানো বৃষ্টির ঢলই বাংলাদেশে চলে এসেছে। আর সে কারণেই রাতারাতি ডুবে গেছে সুনামগঞ্জ ও সিলেটের বেশিরভাগ এলাকা। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, কোথাও কোথাও গলাপানি পেরিয়ে গেছে। একটু নিচু এলাকায় একতলা উচ্চতার ঘরগুলো পর্যন্ত তলিয়ে গেছে। এরই মধ্যে দুই জেলার আকস্মিক এই বন্যায় ডুবে যাওয়া এলাকাগুলোতে তৎপরতা শুরু করেছে সেনাবাহিনী।

বন্যায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সিলেট নগরীর বিশ্বরোডেও পানি। সোবাহানীঘাট-চালিবন্দর এ বিশ্বরোডে এর আগে পানি ওঠেনি।

বিজ্ঞাপন

শনিবার সকাল দশটার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ছোট যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। রিকশা ও বড় যান পানি ডিঙিয়ে চলছে।

শুধু বিশ্বরোডে নয়, নগরীর সুবিদবাজার রোডসহ একাধিক মূল সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া নগরীর চারদিকে থৈ থৈ পানি। রাস্তা, দোকানপাট, বাসাবাড়ি, ঘরের মধ্যে পানি। কোথাও কোথাও হাটু পানি আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত।

সিলেট নগরীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত উপশহর এখন পুরো বিপর্যস্ত, এটি যেন আলাদা দ্বীপ। পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রবল বর্ষণ অব‍্যাহত থাকায় রাস্তায় কম মানুষ দেখা গেছে।

এদিকে চালিবন্দর, মিরাবাজার, আগপাড়া, শাহীঈদগাহ, টিবি গেট, কাজলশাহসহ ২০-৩০টি এলাকায় নতুন করে পানি প্রবেশে করেছ। সবমিলিয়ে শতাধিক মহল্লার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

গত পাঁচ দিন ধরে সুনামগঞ্জ, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট জকিগঞ্জ, সিলেট সদর দক্ষিণ সুরমাসহ সবকটি এলাকা প্লাবিত হয়ে জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎহীন থাকায় সেসব এলাকার কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না।

সারাবাংলা/একে

বন্যা পরিস্থিতি সিলেট সুনামগঞ্জ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর