চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র পেলেন বি এম ডিপোর আগুনে দগ্ধ ৬ জন
১৮ জুন ২০২২ ১৯:১৫
ঢাকা: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তিদের মধ্যে ৬ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৮ জুন) দুপুরে ছয়জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ‘এই ছয়জনের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তারা বর্তমানে ভালো আছে। তাদের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড সার্বিক পর্যবেক্ষণ করে তাদের ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।’
ডা. সামন্ত বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সীতাকুণ্ডের ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসার সব সময় খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। ভর্তি ২১ জনেরর মধ্যে ৬জনকে চিকিৎসার পরে আজ ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা শেষে রোগীরা ছাড়পত্র পাওয়ার আমরা আনন্দিত। তবে ছাড়পত্র পাওয়া রোগীদের হাসপাতালে ফলোআপে থাকতে হবে। পরবর্তী চিকিৎসার জন্য তাদেরকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট ও চট্রগ্রাম মেডিকেলে এবং চক্ষু ইনস্টিটিউটে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’
ডা. সামন্ত বলেন, সীতাকুণ্ডের ঘটনায় আরও ১৫ জন রোগী ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে আরো দুজন রোগী আইসিইউতে ছিলেন। চিকিৎসার পরে তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতির কারণে তাদের ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছে। ভর্তি ১৫জন রোগীর মধ্যে ধারাবাহিকভাবে আরও বেশ কয়েকজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজম কয়েকদিন আগে মারা যান। তবে ৬জন রোগীর মধ্যে ছাড়পত্র পাওয়া ফরমানুলের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পোড়া ছিল।’
হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. ফারুক (৪৭), মঈনউদ্দিন (৩২), মাগফারুল ইসলাম (৬৫), মাসুম মিয়া (৩২) ও ফরমানুল ইসলাম (৩০), ও ফারুক হোসেন (১৬)।
মাগফারুল ইসলামের ছোট ভাই আসাদুল হক জানান, ডিপোর সিকিউরিটি ইনচার্জ মাগফারুলের পশ্চাদাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ঘটনার পরদিনই তাকে ঢাকায় আনা হয়। ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে রাখা হয়। চার দিন আইসিইউতে থাকার পর তাকে পোস্ট অপারেটিভে রাখা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও কিছুটা ক্ষত রয়েছে। চিকিৎসকরা কিছু ওষুধ ও ক্ষতস্থানে লাগানোর জন্য মলম দিয়েছে। এতে ধীরে ধীরে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে। তার চোখের সমস্যাটাও কেটে গেছে।
তিনি জানান, মাগফারুলের অবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো। আমাদেরকে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য ৭ দিন পরে আবার বার্ন ইনস্টিটিউটে আসতে বলা হয়েছে।
এদিকে, মো. ফারুকের ছেলে মো. জাকারিয়া বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে আজকে আমাদের ছুটি দিচ্ছে। এখান থেকে নারায়ণগঞ্জে খানপুরে বাড়িতে যাবো।’
তার বাবার কোমরে দগ্ধ হয়েছিল। এছাড়া চোখে সমস্যা ছিল। এখন অনেকটাই সুস্থ। পরবর্তী চিকিৎসার জন্য আবার হাসপাতালে আসতে বলা হয়েছে। চিকিৎসক নার্সদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
সারাবাংলা/এসএসআর/একে