Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ক্যাম্পে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ‘গো হোম ক্যাম্পেইন’, পেছনে কারা?

ওমর ফারুক হিরু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৯ জুন ২০২২ ০৮:১২

কক্সবাজার: বিশ্ব শরণার্থী দিবসকে কেন্দ্র করে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য নানা দাবি নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ক্যাম্পে চলছে ‘গো হোম ক্যাম্পেইন’। আগামী ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে রোববার (১৯ জুন) একসঙ্গে পৃথক স্থানে কয়েকটি সমাবেশের আয়োজন করতে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। সমাবেশে গণহত্যার বিচার, দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ ১৮টি দাবি তুলে ধরা হবে।

এই ক্যাম্পেইনের ভার্চুয়াল ব্যানারে প্রত্যাবাসনসহ নানা দাবি’র কথা লেখা থাকলেও আয়োজক হিসেবে নির্দিষ্ট কোনো সংগঠনের নাম বা কারা আয়োজন করছে তার উল্লেখ নাই। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিষয়টি তাদের নজরে রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট ক্যাম্পে প্রথমবারের মতো বড় সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই আয়োজনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাস্টার মুহিববুল্লাহ। তবে এরপর তিনি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন।

এবারে নেতৃত্ব দাতার নাম উল্লেখ না থাকলেও প্রয়াত রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহর হাতে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি পিস ফর হিউম্যান রাইটস’ এর লোগে দেখা গেছে লিফলেটে। ওই লিফলেটে ১৮টি দাবি উল্লেখ করেছে রোহিঙ্গারা।

জানা গেছে, শরণার্থী দিবসে ৫টি ক্যাম্প একসঙ্গে জড়ো হবে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৯ এর ফুটবল মাঠে। সকাল ১০টায় শুরু হবে সমাবেশ। সেখানে একসঙ্গে যোগ দেবে ক্যাম্প ৮, ৯, ১০, ১১ ও ১২ নাম্বারে আশ্রিত রোহিঙ্গারা। তবে বাকি ক্যাম্পগুলোর রোহিঙ্গারা ওই সমাবেশে যোগ দেবে নাকি পৃথক স্থানে সমাবেশ করবে সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সমাবেশে উত্থাপনের জন্য প্রস্তুত করা ওই দাবিগুলো হলো- রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা বলেই ডাকতে হবে, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাবাসন হতে হবে, সীমিত সময় রাখা যাবে মিয়ানমার ট্রানজিট ক্যাম্পে, প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করতে হবে গ্রামে গ্রামে, প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত প্রত্যেক চুক্তি অন্তর্ভূক্ত করতে হবে, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ওআইসি, যুক্তরাজ্য, ইউরোপিয় ইউনিয়ন, বাংলাদেশ, এনজিওসংশ্লিষ্ট সবাইকে অর্ন্তভুক্ত করতে হবে, বার্মার ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন বাতিল, সম্পত্তি ফেরত, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারসহ ইত্যাদি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে রোহিঙ্গাদের সমাবেশের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কিনা সেটি জানতে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তারা এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি তাদের নজরে রয়েছে।

সারাবাংলা/এমও

গণহত্যার বিচার গো হোম ক্যাম্পেইন বিশ্ব শরণার্থী দিবস রোহিঙ্গা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর