পাহাড় থেকে ৩২ পরিবারকে সরাল জেলা প্রশাসন
১৮ জুন ২০২২ ২০:৫৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড়ধসে চারজনের প্রাণহানির পর আশপাশের পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত ৩২টি পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। তাদের চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৮ জুন) দুপুরে নগরীর উত্তর পাহাড়তলী ফিরোজশাহ এবং বিজয়নগর এলাকায় পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশপাশের পাহাড়ে মাইকিং করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরে যাবার নির্দেশনা দেয়া হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও সহকারী কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন পাহাড়ে গিয়ে সতর্কতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র আমরা চালু করেছি। সেখানে পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু বারবার অনুরোধের পরও লোকজনকে সরানো যাচ্ছে না। চারজনের মৃত্যুর পর আমরা সংশ্লিষ্ট পাহাড়গুলোতে অভিযান চালিয়ে ৩২টি পরিবারকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছি।’
পাহাড় থেকে সরিয়ে এসব পরিবারের সদস্যদের নগরীর বিশ্বকলোনি এলাকায় কোয়াড পি-ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফিরোজশাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালখানবাজার এলাকায় ওয়াই ডব্লিউ সি এ স্কুল এবং হাজী হযরত আলিয়া মাদরাসায় রাখা হয়েছে বলে এনডিসি তৌহিদুল জানিয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকায় দু’টি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন নিহত ও দু’জন আহত হন।
নগরীর ফিরোজ শাহ কলোনির এক নম্বর ঝিল বরিশালঘোনা এলাকায় পাহাড়ধসে মারা যান শাহীনূর আক্তার (২৬) ও তার বোন মাইনুর আক্তার (২৪)। আহত হন তাদের বাবা-মা ফজল হক (৭০) ও মোশারা বেগম (৬৫)।
নগরীর ফয়’সলেক সংলগ্ন সী ওয়ার্ল্ডের পাশে বিজয়নগর এলাকায় আরেকটি পাহাড়ধসের ঘটনায় লিটন (২৩) ও ইমন (১৪) নামে দু’জন মারা যান।
সারাবাংলা/আরডি/এসএসএ