‘বন্যার্তদের পাশে আ.লীগের নেতাকর্মী ছাড়া অন্য দলের কেউ নেই’
১৯ জুন ২০২২ ০০:০৮
ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সিলেটসহ দেশের কয়েকটি বন্যাপ্লাবিত এলাকায় প্রশাসনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এবং তারা ছাড়া অন্য কোনো দলের নেতাকর্মীরা বন্যার্তদের পাশে নেই।
শনিবার (১৮ জুন) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার অ্যাড. নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে উপজেলার স্কুল ও কলেজ শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় বসে বসে কেউ টক শোতে বক্তৃতা দিচ্ছেন আর ঢাকায় নয়াপল্টনে কিংবা প্রেস ক্লাবের সামনে সরকারের বিরুদ্ধে অনেকে বিষোদগার করছেন। কিন্তু বন্যার্তদের সাহায্য করার জন্য কেউ ঝাঁপিয়ে পড়েনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।’
পদ্মা সেতু নিয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ ভাবেনি কখনো নিজের টাকায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবে। পরে যখন আমরা পদ্মাসেতু নির্মাণ শুরু করে দিয়েছি, বিশ্বব্যাংক কানাডার আদালতে হেরে যায়। কানাডার আদালতে আমাদের সরকার যায়নি, বিশ্বব্যাংকই গেছে এবং তারাই হেরে গেছে। তাদের অভিযোগ যে ভুয়া, মনগড়া এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল, কানাডার আদালতে সেটি প্রমাণিত হয়েছে। আদালত রায় দিয়েছে-পদ্মা সেতু নিয়ে কোনো দুর্নীতি হয়নি, দুর্নীতির চেষ্টাও হয়নি।’
ড. হাছান বলেন, ‘এর পর বিশ্বব্যাংক প্রস্তাব দিয়েছিল পদ্মা সেতুতে তারা অর্থায়ন করতে চায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমার বিশ্বব্যাংকের অর্থ দরকার নাই। আজকে তিনি বিশ্বমোড়লদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিয়েছেন নিজের টাকায় পদ্মাসেতু করে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন ‘আমাদের দেশের একটি বড় পত্রিকায় হেডিং হয়েছিল পদ্মাসেতু আর হচ্ছে না। আমাদের দেশের কিছু বুদ্ধিজীবীও বলেছিলেন এই সরকারের আমলে আর পদ্মাসেতু হচ্ছে না। ড. ইউনুসও এমনই বলেছিলেন। আমি উনার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখে বলতে চাই, সত্যটা হচ্ছে বিশ্বব্যাংক যাতে পদ্মা সেতু থেকে সরে যায়, সেজন্য এই ষড়যন্ত্রের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। একইভাবে টিআইবি, সিপিডিসহ আরো অনেকে বলেছিল পদ্মা সেতু হবে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দেখিয়ে দিয়েছেন, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু হয়।’
এ সময় শিক্ষকদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে- শুধুমাত্র বস্তুগত উন্নয়নের মাধ্যমেই দেশকে উন্নত করা নয়, নতুন প্রজন্মের মাঝে মেধা, মূল্যবোধ দেশাত্ববোধ, মমত্ববোধের সমন্বয় ঘটিয়ে উন্নত মানবিক রাষ্ট্র গড়া। সেজন্য শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি মূল্যবোধ, দেশাত্ববোধ, মমত্ববোধ এবং একইসাথে গুরুজনের প্রতি দায়িত্ববোধ শেখাবার অনুরোধ জানাই।’
রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ আবদুল মাবুদের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. সেকান্দার চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একেএম সুজা উদ্দিন প্রমুখ। [সূত্র: বাসস]
সারাবাংলা/পিটিএম